দীর্ঘদিন পর কোমা থেকে ফিরলেও করোনাভাইরাসের থাবা থেকে মুক্তি পেলেন না খ্যাতিমান ফটোসাংবাদিক ও আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের কার্যকরি সদস্য আবদুল হাই স্বপন। গত সোমবার নিউইয়র্ক সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে কুইন্স হাসপাতালে মারা যান সবার পরিচিত ‘স্বপ্ন হাই’। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। ভারতে তার কিডনি প্রতিস্থাপনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল।

নিউইয়র্কের সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে স্বপন হাইয়ের জন্য একটি ফান্ডরেজিং কনসার্ট করা হয় গত ৬ মার্চ। যেখানে সাংবাদিক ও কমিউনিটির অনেক বন্ধুরা সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন। গত ২৮ মার্চ তার দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তা হয়ে ওঠেনি। এর মধ্যে তিনি কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে তার করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। শেষ পর্যন্ত চলেই গেলেন স্বপন হাই।

স্বপন হাই বাংলাবাজার, মানবজমিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফটোসাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৪ সাল থেকে তিনি নিউইয়র্কে অবস্থান করছিলেন। এর মধ্যে তার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। গত বছর থেকে দেখা দেয় কিডনি জটিলতা। তখন থেকেই নিয়মিত ডায়ালাইসিসে ছিলেন।

খ্যাতিমান এই সাংবাদিক নিউইয়র্কের প্রথম আলো উত্তর আমেরিকা, সাপ্তাহিক আজকাল ও টিবিএন২৪ টেলিভিশনে কাজ করেছেন। তার এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। স্ত্রী ঢাকার একটি স্কুলে চাকরি করেন।

আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি দর্পণ কবীর তার দেশে ফেরাসহ সার্বিক বিষয়ে তত্ত্বাবধান করছিলেন। নিউইয়র্কে স্বপন তার বড় ভাই মতিনের জ্যামাইকার বাসায় থাকতেন। স্বপন হাইয়ের মৃত্যুতে নিউইয়র্কের পরিবেশ আরো শোকাবহ হয়ে উঠেছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সোসাইটির তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে স্বপন হাইকে নিউজার্সির বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব কবরস্থানে দাফন করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন সোসাইটির সহসভাপতি আবদুর রহিম হাওলাদার। স্বপন হাইয়ের মৃত্যুতে আমেরিকা বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠন ও কমিউনিটির নেতারা শোক জানিয়েছেন।

"