পার্থ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা থেকে
পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত বাড়ছে সতর্কবার্তা মমতার
পশ্চিমবঙ্গে আরো একজনের শরীরে ধরা পড়েছে করোনাভাইরাস। এ নিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে তিন। আরো অন্তত ৩৫ জনকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। এবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বালিগঞ্জের এক যুবক। তিনিও সম্প্রতি লন্ডন থেকে ফিরেছেন বলে জানা গেছে। তাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানিয়েছে নাইসেড।
আর এই পরিস্থিতিতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। তবে আতঙ্কের বদলে সতর্কবার্তাই বার বার দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে এই মুহূর্তে রাজ্যে নজরদারিতে আছেন ২০ হাজার ২০০ জন। হোম আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ৯০২ জন। হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ২৯ জনকে। ১০৪ জনের কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৮৭ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
পশ্চিমবঙ্গে এই পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকেই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বেরোতে পারছেন না বহু মানুষ। এর জেরে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। তাদের কথা মাথায় রেখেই আগামী ছয় মাস রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে ৭ লাখ ৮৫ হাজার মানুষকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে চাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনার জেরে যাতে রাজ্যের মানুষকে অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাতে না হয় তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হোম কোয়ারেন্টাইনে তৃণমূল সংসদ সদস্য ডেরেক ও ব্রায়েন
এবার হোম কোয়ারেন্টাইনে গেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ সদস্য ডেরেক ও ব্রায়েন। জানা গেছে, বলিউডি গায়িকা কনিকা কাপুর করোনা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও তিনি লক্ষেèৗতে একটি পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই পার্টিতে ছিলেন নানা স্তরের রাজনৈতিক নেতা। ছিলেন বিজেপি সংসদ সদস্য দুষ্মন্ত সিংও। আর এই দুষ্মন্ত সিংয়ের সঙ্গেও সংসদে স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সংসদ সদস্য ডেরেক। এই পরিস্থিতিতে তাই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাই যথাযথ মনে করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। গোটা ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ ডেরেক। বলেছেন, হচ্ছেটা কী, সংসদ বন্ধ রাখা উচিত। জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরই ডেরেক টুইট করেছিলেন, সরকারের পরামর্শে বলা হচ্ছে ৬৫-এর বেশি বয়সিদের বাড়িতে থাকতে। আগামীকাল রোববার কারফিউ ঘোষিত হয়েছে এবং এখনো কেন সংসদ চলছে? কেন এমন বিভ্রান্তিকর বার্তা? রাজ্যসভার ৪৪ শতাংশ সংসদ সদস্য ও লোকসভার ২২ শতাংশ সংসদ সদস্যদের বয়স ৬৫ বা তার বেশি। পরামর্শকে অবহেলা এবং আপনি সবচেয়ে বেশি করে সংসদে অনুপস্থিত রয়েছেন। ঠিক তারপর দিনই হোম কোয়ারেন্টাইনে যেতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ সদস্য ডেরেক ও ব্রায়েনকে।
"