নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ জানুয়ারি, ২০২০

তাবিথের ওপর হামলা তদন্তের নির্দেশ ইসির

আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে মাঠে নামাবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ইসি সচিব মো. আলমগীর। এদিকে রাজধানীর গাবতলীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গণসংযোগকালে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ইসি সচিব। তিনি বলেন, প্রচারে হামলার বিষয়ে কমিশনের কাছে বিএনপি অভিযোগ করেছে। কমিশন বিষয়টি শুনেছে এবং তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বিভক্ত ঢাকা সিটির প্রথম নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করেছিল নির্বাচন কমিশন। ওই নির্বাচনে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব দিয়ে ক্যান্টনমেন্টেই প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। প্রয়োজনে তাদের মুভ করার নির্দেশনা দিয়েছিল ইসি। সে সময় ঢাকা ও মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট এবং ডেমরায় রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল ৩ ব্যাটালিয়ন সেনা।

এ বিষয়টি সামনে আনলে ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘ঢাকার ভোটে সেনা নামানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।’ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে সেনা মাঠে না থাকলেও ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ভোটগ্রহণের সহায়তায় থাকবেন। এক্ষেত্রে তারা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরিচালনায় টেকনিক্যাল টিম হিসেবে সহায়তা করবেন। নিরস্ত্র ৫ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে ভোটকেন্দ্রগুলোতে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব থাকে, সে নির্বাচনে তাদের ডাকা হয়। এটি জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে সেনাবাহিনীকে কোনো দায়িত্ব দেয়া হয়নি। ইভিএমে যারা কাজ করবে তারা সেনাবাহিনীর ফোর্স না, টেকনিক্যাল লোক। যারা ইভিএমের এক্সপার্ট তাদের শুধু রাখা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close