পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, তিস্তার পানিবণ্টনে বাংলাদেশ-ভারত পর্যায়ে আলোচনা চলছে। গতকাল শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ভাঙনকবলিত ধরলা নদীতে কালোয়া বাঁধে সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগের ডাম্পিং কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর আবদুল মতিন, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি মো. জাফর আলী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মাহফুজার রহমান প্রমুখ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তা নদী শাসনে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাদেরও পানি দরকার, আমাদের পানি দরকার। আমরা দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র কীভাবে তিস্তার পানি ব্যবহার করতে পারি সে ব্যাপারে দুই দেশের টেকনিক্যাল পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমরা দেখব তিস্তা নদীর পানি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নদীর পানিতে দুই দেশের মানুষ উপকৃত হবে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে এ এলাকার ভাঙন ও বন্যা কমে আসবে। এলাকাবাসী যাতে বন্যার পানিতে প্লাবিত না হয়, ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে। প্রতিমন্ত্রী এরপর উলিপুর শহরে বুড়িতিস্তা নদী খননকাজের অগ্রগতি, নাগড়াকুড়া টি হেড গ্রোয়েন বাঁধ এবং চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র তীররক্ষা বাঁধের নতুন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি স্পিডবোডযোগে চিলমারীর রমনা ও উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

"