নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি
অর্ধেক ভাড়া নিচ্ছেন না বাস শ্রমিকরা
রাজধানীর গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের জন্য বাসের অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার মৌখিক নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না অধিকাংশ গণপরিবহন কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিকাংশ লোকাল ও সিটিং সার্ভিসগুলো তাদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নিতে চায় না।
রাজধানীর কয়েকটি রুট ঘুরে, গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়া না নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। দুই-একটা পরিবহন ছাড়া, অধিকাংশ রুটের পরিবহনগুলো সিটিং, গেটলক সার্ভিস নামে চলছে। যারা নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ ভাড়া আদায় করে। আর ভাড়া নিয়ে প্রায়ই চালক-হেলপারদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী জাফরুল ইসলাম বলেন, পরিবারের সঙ্গে আমাকে মিরপুরে থাকতে হয়। তাই নিয়মিত বাসে করেই কলেজে যাতায়াত করি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া আদায়ের নির্দেশনা থাকলেও বাসের হেলপাররা সেটা নিতে চান না। তারা সবসময় আমার কাছ থেকে ফুল ভাড়া (২৫ টাকা) আদায় করেন। এমনকি অনেক পরিবহনে শিক্ষার্থীদের নিতে চায় না, নিলেও আগে থেকে বলে হাফ ভাড়া নেই।
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আসিফ ইমতিয়াজ বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেওয়া হয়। আর আমাদের দেশে মন্ত্রীর নির্দেশনা থকা সত্ত্বেও তা মানা হয় না।
মোহাম্মদপুর টু বাসাবো রুটে নিয়মিত চলাচল করে মিডলাইন পরিবহন। ওই পরিবহনের সুপারভাইজার মো. রনি বলেন, আমাদের কী করার আছে? কারণ দিন শেষে মালিকের কাছে হিসাব দিতে হয়। মালিক জানিয়ে দিয়েছেন, কারো কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেওয়া যাবে না।
মিরপুর বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী সুমি আক্তার বলেন, আমাদের মতো যাদের নিয়মিত কলেজে যেতে হয়, তাদের জন্য বাসের সম্পূর্ণ ভাড়া বহন করা কষ্টের। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নিতে সরকার কোনো নীতিমালা করেনি। তবে আমি মনে করি, শিক্ষার্থীদের ভাড়া বিষয়ে একটি আইনি কাঠামো করা প্রয়োজন। কাঠামো থাকলে পরিবহন শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি কমে যাবে।
মহাখালী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক বলেন, হাফ ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই। তাহলে কেন আমরা হাফ ভাড়া নেব? সরকার এ বিষয়ে নীতিমালা করলে আমরা সেটা মেনে চলব।
"