তানজিন তিপিয়া
আরোগ্যকর পানীয়
সার্স কোভ-২ যেন আমাদের পুরোনো দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যখন কোনো ওষুধ মেলত না, তখন আমাদের দাদি-নানিরা রান্নাঘরে গিয়ে কী যেন মিশিয়ে নিয়ে আসতেন। আর যা পান করলেই রোগীরা সেরে উঠত। জ্বর, সর্দি, কাশি ঋতু পরিবর্তনের কারণেও হয়, তাই আতঙ্কিত না হয়ে উচিত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেওয়া। এমতাবস্থায় দাদি-নানিদের হাতে তৈরি প্রচলিত কিছু উষ্ণপানীয় সেবন করলে মন্দ হয় না। আরোগ্যকর সেসব পানীয় নিয়ে আজকের আয়োজন। রন্ধনশিল্পী
মাল্টার গরম পানি
উপকরণ : একটি মাল্টার রস, পানি এক কাপ, আদা গ্রেট করা এক টুকরা, লবঙ্গ দুটি, দারুচিনি এক টুকরো।
প্রণালি : সব কটা একত্রে হালকা গরম করুন তবে ফোটাবেন না। শেষে এক টেবিল চামচ মধু দিয়ে গরম গরম সেবন করুন।
বি. দ্র. : প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ মাল্টায় রয়েছে হেসপেরিডিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেস্ট, যা দেহে রোগ প্রতিরোধ করে। রাতে ঘুমানোর আগে সেবন করুন।
কুসুম গরম মধু
উপকরণ : মধু এক চা চামচ, হালকা গরম পানি এক গ্লাস।
প্রণালি : পানিতে মধু মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। নবী করিম (সা.) রোজ সকালে খালি পেটে পান করতেন। পৃথিবীর সেরা পানীয় বললেও ভুল হবে না, কারণ এর উপকারিতার শেষ নেই।
বি. দ্র. : দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়ায়। সর্দি কাশি দূর করে। পরিপাকে সাহায্য করে। পাকস্থলীর আলসার, জ্বালাপোড়া নিরাময়, টক্সিন বার করে দেওয়া মোট কথা পাকস্থলী সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা দূর করার ক্ষমতা রাখে। হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে, ওজন কমায়, ত্বক সুন্দর ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। গর্ভবতী মায়েরাও অবশ্যই প্রতিদিন পান করতে পারেন।
দারুচিনির সেদ্ধ পানি
উপকরণ : আদা গ্র্রেট করা এক টুকরো। দারুচিনির গোটা ছয় টুকরো, পানি তিন মগ।
প্রণালি : সব উপকরণ ২ মিনিট ফুটিয়ে নিন। শেষে লেবু, মধু এক টেবিল চামচ করে মিশিয়ে পান করুন।
বি. দ্র. : নাকের সাইনাস হাঁচি বন্ধ আর গলার ব্যথার জন্য উপকারী।
আদা মরিচের পানি
উপকরণ : আদা গ্রেট করা এক টুকরো, হলুদ তিন চিমটি, লাল মরিচের গুঁড়ো এক চিমটি, লেবুর রস অর্ধেক, মধু দুই চা চামচ, পানি এক মগ।
প্রণালি : সব উপাদান একত্রে একটি মগে নিয়ে নিন। তার ওপর ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দিলেই তৈরি।
বি. দ্র. : শ্বাস-প্রশ্বাসে স্বস্তি দেয়, হজম ক্রিয়ায় সাহায্য করে ও ওজন কমায়।
"