তানজিন তিপিয়া
মাংসের রকমারি রান্না
কদিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। যাকে আমরা কোরবানির ঈদ বলে থাকি। এই ঈদের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে গরু/মহিষ/ছাগল জবাই। আর মুমিনের সুন্নাহ পালিত হয় রান্না করা কোরবানি মাংস খাওয়ার মাধ্যমে। এই পবিত্র দিনে বাঁধুনিদের কাজ একটু সহজ করে দিতেই আজ রইল মাংসের রকমারি রান্নার প্রথম পর্বের আয়োজন। তৈরি করেছেন রন্ধনশিল্পী
পেঁয়াজ ভুনো
উপকরণ : গরু/মহিষের মাংস দুই কেজি, পেঁয়াজ তিনটি, রসুন তিনটি, আদা বড় এক টুকরো কুচি করা, কাঁচামরিচ গোটা ১৫টি, লাল মরিচের গুঁড়ো এক টেবিল চা চামচ, ধনেগুঁড়ো এক চা চামচ, হলুদ আধা চা চামচ, পানি পাঁচ লিটার, লবণ এক চা চামচ, তেল এক কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি : মাংস, আদা কুচি আর সব মসলা একত্রে দিয়ে মাংস সেদ্ধ করে নিন। ঝোল শুকিয়ে এলে পেঁয়াজ, রসুন কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। শেষে পেঁয়াজ ভেজে লাল মাখামাখা হয়ে এলেই পেঁয়াজ ভুনো রান্না শেষ।
মগজ কষা
উপকরণ : গরু/মহিষের মগজ একটি (সেদ্ধ করে হাতে চটকানো), পেঁয়াজ একটি, রসুন তিনটি কুচি করা, কাঁচামরিচ গোটা পাঁচটি, লাল মরিচের গুঁড়ো এক টেবিল চা চামচ, জিরে গুঁড়ো এক চা চামচ, হলুদ আধা চা চামচ, লবণ এক চা চামচ, তেল ১০ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি : তেলে পেঁয়াজ রসুন ভেজে সব উপকরণ একত্রে দিয়ে নাড়লেই মগজ কষা তৈরি।
কলিজা নাড়া
উপকরণ : গরুর কলিজা ছোট করে কাটা দুই বাটি (সেদ্ধ) , বড় চারটি পেঁয়াজ কাটা, কাঁচামরিচ ১০টি, সয়াবিন তেল ও সরিষার তেল চার টেবিল চামচ করে, ধনেগুঁড়ো ও জিরেগুঁড়ো এক টেবিল চামচ করে, লবণ দেড় চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি : তেলে পেঁয়াজ ভেজে সব উপকরণ একত্রে দিয়ে নাড়ুন। মৃদু আঁচে ঢাকনা দিয়ে ৫ মিনিট রাখলেই কলিজা নাড়া তৈরি।
নারকেলি গোশ
উপকরণ : সেদ্ধ করা গরু/খাসির বড় টুকরো ১২টি, নারকেল বাটা এক কাপ, গ্রেটকরা পেঁয়াজ একটি, কাঁচামরিচ গোটা সাতটি, ধনেপাতা কুচি দুই মুঠো, সয়াবিন
তেল চার টেবিল চামচ, জিরেগুঁড়ো ও
হলুদ এক চা চামচ করে, ধনেগুঁড়ো তিন চা চামচ, পাউডার দুধ চার টেবিল চামচ,
পানি এক লিটার, লবণ এক চা
চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি : তেলে পেঁয়াজ ভেজে সব উপকরণ একত্রে কষিয়ে পানি দিয়ে মাংস বসিয়ে দিন। ঝোল শুকিয়ে মাখামাখা হয়ে এলেই তৈরি।
"