সৈয়দ মিজানুর রহমান

  ২৫ জুন, ২০২২

স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেতু

শেখ হাসিনার ‘পদ্মা বিজয়’

বাঙালির আত্মমর্যাদা ও উন্নয়ন অহংকারের প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এটি শুধু একটি সেতুই নয়, এটি সফল রাষ্ট্রনায়ক, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল বাংলাদেশের আত্মপরিচয়ও। বিশ্বের উন্নয়নকামী মানুষ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রহর গুনছে।

বহুল কাক্সিক্ষত এই সেতুর সুফল ভোগ করবে বাংলার আপামর জনগণ। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় তিন কোটিরও বেশি মানুষ। এছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জন্যও এই সেতুযোগের ভূমিকা কল্যাণ বয়ে আনবে। নবোদ্যমে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বাংলাদেশ আরো উন্নত সমৃদ্ধির পথে যাত্রা করবে। জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য এটি নিঃসন্দেহে গৌরবোজ্জ্বল আরো একটি বিজয়।

বিজয়ের প্রাসঙ্গিক আলোচনায় বলতে হয়, যে কোনো বিজয় লাভের ক্ষেত্রে পক্ষ-বিপক্ষ থাকে। বাঙালির উন্নয়ন অহংকারের পদ্মা সেতু বিজয়ে আশ্চর্যজনক প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াল বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার সহযোগী দেশ-বিদেশের কিছু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। বেগম জিয়া তার এক বক্তব্যে উপহাসের ভাষায় জনমনে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বলতে দেখা যায়, ‘শেখ হাসিনা সরকার নাকি কেবল পদ্মা সেতুর স্বপ্নই দেখাচ্ছে। কিন্তু পদ্মা সেতু এই আওয়ামী লীগের আমলে আর হবে না। এ সেতু যেভাবে জোড়াতালি দিয়ে বানায়! সেই সেতুতে কেউ উঠবেন না। অনেক রিস্ক আছে’।

রাষ্ট্রীয় সম্পদ সম্পর্কে একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের ভিত্তিহীন বক্তব্য বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের উন্নয়নকামী মানুষকে ভীষণভাবে ব্যথিত করেছে। অবশ্য আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের স্বার্থ চরিতার্থ করার মিশন তো জিয়া পরিবার সেই স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় থেকেই বাস্তবায়ন করার চেষ্টায় রত। ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’, এ আর নতুন কি? ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্র থেকেই তো বাংলাদেশের রাজনীতি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধায় বাধাগ্রস্ত করে আসছে জিয়াউর রহমান। পরবর্তী সময়ে বিএনপি নেত্রী খালেদ জিয়া সরকারের শাসনামলেও দেশবাসী বিভিন্নভাবে রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছিল।

প্রসঙ্গক্রমে বলতে হয়, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী যুক্তরাষ্ট্রের সুস্পষ্ট অবস্থান ছিল। সুযোগ পেলেই এরা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের ক্ষতি করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে আর বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে দেশের বিরুদ্ধে বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের সহযোগীরা রাজাকার নামে অভিহিত হয়। বর্তমান সময়ের রাজাকারদের সম্পর্কে আমাদের তরুণ প্রজন্মের জানা উচিত। বাঙালির বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার একটি অপপ্রয়াস ছিল। এ প্রচেষ্টায়ও রাজাকারদের দৌরাত্ম্য দেখেছে বাঙালি।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনের ষড়যন্ত্রে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন বাতিল করে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য দাতাগোষ্ঠী। এক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংক দুর্নীতিগ্রস্ত নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. ইউনূস সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি বিশ্বব্যাপী আলোচিত। এছাড়াও মিথ্যা এ অপবাদের সঙ্গে দেশের আরো কিছু টকশো বুদ্ধিজীবী সুর মিলিয়েছিল।

বাঙালি বীরের জাতি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই জাতি অন্যায়, ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আবারও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় একটি যুদ্ধ হয়েছিল। সেই যুদ্ধে তিনি বাংলাদেশকে শুধু নির্দোষ প্রমাণ করেই ক্ষান্ত হননি, বরং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ শেষ করে বিশ্বব্যাপী সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেছেন।

পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির কোনো তথ্য-প্রমাণ পায়নি কানাডার অন্টারিওর আদালত। এটি একটি ষড়যন্ত্র ও নিছক গুজব বলে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্তদের এ মামলা থেকে অব্যাহতিও দিয়েছে আদালত। দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের কারণে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ঋণ বাতিল করেছিল বিশ্বব্যাংক। অথচ ২০১৫-১৬ সালের মধ্যেই পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করার পরিকল্পনা ছিল শেখ হাসিনা সরকার এবং তা সময়মতো সম্ভব হলে, বাংলাদেশের জিডিপির গ্রোথ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২ শতাংশে উন্নীত হতো। বর্তমানে ২০২২ সাল নাগাদ অর্থনৈতিক হিসেবে শত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে দেশের। এছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ উন্নত জীবন-যাপনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই দায় কার?

১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গৃহীত একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ খালেদা জিয়ার জোট-সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বাতিল হয়ে যায়। যার মধ্যে, পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্প, মোংলা সমুদ্র বন্দর প্রকল্প, জাতীয় পানির ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে গড়াই নদী খনন প্রকল্প, স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রায় ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প এবং ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পসহ তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার গৃহীত আরো বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ২০০১ সালে গঠিত বিএনপি-জোট সরকারের আমলে।

একইভাবে এরশাদ সরকার পতনের পরও বহু রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার দৃষ্টান্ত রয়েছে। এমনকি স্থানীয়ভাবে উপজেলায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচন ব্যবস্থা পর্যন্ত বাতিল করে খালেদা সরকার। এতে করে দেশের নাগরিক মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। অবশ্য ২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভের পর সরকার গঠন করলে ফের জনকল্যাণমূখী কর্মসূচি বা প্রকল্পের কাজ চালু হয়ে আজ অবদি দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের সেসব উন্নয়ন সুফল ভোগ করছে। পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে ধারণা করাই যায়, বিএনপি জোট আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় আবির্ভূত হলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রগতি মূহূর্তেই থমকে দাঁড়াবে। যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে দেশ ও জাতীয় জীবনে। এতে কোনো সন্দেহ নেই।

খালেদা জিয়া নিজেও তো রাষ্ট্র পরিচালনার দর্শন ‘ভিশন-২০৩০’ ঘোষণা করে বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বেরিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছিল। কই, তার এই দর্শনের সমালোচনা করে সরকারি দলের কেউ তো বিরূপ মন্তব্য করেনি! বরং প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসা করেছিলেন। এই হলো গণতন্ত্র চর্চা এবং দেশের উন্নয়নের স্বার্থে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মতপার্থক্য।

সম্প্রতি পদ্মা বহুমুখী সেতু ইস্যুতে বাংলাদেশের উন্নয়ন সমালোচকদের মুখোশ খুলে ষড়যন্ত্রকারীদের পানিতে চুবানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আসলে বাংলাদেশের উন্নয়নকামী জনসাধারণের পক্ষেই দেশবাসীর মনের অভিব্যক্তি তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে বিএনপি নেত্রী দেশের নাগরিক অধিকার নিয়ে যে ঠাট্টা, কৌতুক করেছেন, তা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় কোনোভাবেই কাম্য নয়। ‘পদ্মা সেতুতে কেউ উঠবেন না। এতে জীবনের ঝুঁকি থেকে যায়।’ আর যাই হোক সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখে এই ধরনের বক্তব্য কোনো যুক্তিতেই শোভা পায় না। বেগম জিয়ার এই ধরনের বক্তব্য শুধু আক্রোশই নয়, বরং প্রতিহিংসাপরায়ণ তীর্যক বাক্যও বটে।

যেকোনো সরকারের গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্প দেশ ও জনগণের সম্পদ হয়ে উঠে। সরকার আসবে; জনগণ না চাইলে নির্বাচিত সরকার আবার ক্ষমতাচ্যুতও হতে পারে। সরকারের ব্যর্থতায় সমালোচনা করাও সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু দেশের কল্যাণে জনগণের প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর জন্য গণতন্ত্রকামী নেত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া অভিনন্দন জানানোর কথা ছিল। অথচ, তিনি সেটা না করে দেশের মানুষকে পদ্মা সেতু ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করায় বাংলাদেশের মানুষ চরমভাবে হতাশ, একই সঙ্গে সংক্ষুব্ধও।

দেশের উত্তরাঞ্চলে অর্থনীতি উন্নয়নের বড় দাবিদার যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু। এরশাদ সরকার যমুনা সেতু প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিল। খালেদা জিয়ার সরকারেরও অবদান রয়েছে এই সেতু প্রকল্পে। তবে, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার যমুনা সেতু প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করে। এতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত জেলাগুলোর সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের সংযোগ সৃষ্টি হলে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসে বাংলাদেশে। এই সেতুর মাধ্যমে রেলওয়ে, বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগ স্থাপিত হওয়ায় জাতীয় বিদ্যুৎ ও গ্যাস গ্রিড সমৃদ্ধি পায়। একইভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার সুফলও গোটা দেশের জনগণ ভোগ করছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের দীর্ঘতম পদ্মা বহুমুখী সেতুর মাধ্যমে রেললাইন, বৈদ্যুতিক লাইন, গ্যাস লাইন এবং ফাইবার অপটিক কেবল সম্প্রসারণের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। সে লক্ষ্যেই সেতুর মূলনকশা পরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া পদ্মা সেতু চালু হলে প্রত্যক্ষভাবে দেশের প্রায় ৪৪,০০০ বর্গকিলোমিটার বা সমগ্র বাংলাদেশের মোট আয়তনের ২৯ শতাংশ অঞ্চলে ২১ জেলার প্রায় তিন কোটিরও বেশি জনসাধারণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশে দক্ষিণাঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। কৃষিতে আনবে নতুন বিপ্লব। বাড়বে কর্মসংস্থান। এরই মধ্যে পদ্মা সেতু ঘিরে পর্যটন শিল্প বিকাশের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। সেতুর দুই পাড়ে সিঙ্গাপুর ও চীনের সাংহাই নগরের আদলে গড়ে উঠবে পর্যটন শহর। দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্য সম্পর্ক সহজতর করবে এই পদ্মা সেতু। পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দর এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী এবং বন্দর নগরী চট্টগ্রামের মধ্যে যোগাযোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। এতে করে দেশের মোট জিডিপি প্রবৃদ্ধির আশা দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্থানীয় সরকার, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেতু বিভাগের এক যৌথ গবেষণার খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতুকে ঘিরে দুই পাড়ে প্রায় ৩০ শতাংশ নির্মাণকাজ বাড়বে। সাড়ে ৯ শতাংশ কৃষিকাজের প্রবৃদ্ধি হবে। উৎপাদন ও পরিবহন খাতের কাজ ৮ শতাংশ বাড়বে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মৌলিক চাহিদা চিকিৎসা, শিক্ষাসহ অন্যান্য সুবিধা নিতে সরাসরি রাজধানীতে যাতায়াত সুবিধা সহজতর হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার এমন উন্নয়নের ফলে দক্ষিণাঞ্চলে জনজীবনের ভাগ্য বদলে যাবে।

এরই মধ্যে, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে নদীর পাশেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল, বিশেষ অর্থনৈতিক জোন, ইকোনমিক করিডোর, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সিটি, হাইটেক পার্ক, অলিম্পিক ভিলেজ, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, নৌবন্দর, আধুনিক রেল, সড়ক ও নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

আধুনিক আবাসন, শিক্ষা-চিকিৎসাসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসহ পদ্মা সেতু সংলগ্ন জাজিরার নাওডোবা এলাকায় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী গড়ে তোলা হচ্ছে। জমি অধিগ্রহণসহ এ প্রকল্পের অন্যান্য কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। আশা করা যায়, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে এই পদ্মা সেতু। ফলে দেশে দারিদ্র্র্যের হারও কমতে থাকবে।

রাষ্ট্রের সম্পদ জনগণের কল্যাণে ব্যবহৃত হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। রাজনীতি যদি হয় দেশ ও জনগণের উন্নয়ন ভাগ্য বদলের জন্যে। তাহলে তো জনগণের মনের ভাষা ও স্বপ্নের কথা ভাবতে হয়। পদ্মা সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের স্বপ্নসমান বড় অর্জন, যা শুধু মানুষের ভাগ্য উন্নয়নই নয়, জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন অগ্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী সব অপশক্তিকে রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ আর দেশের জনগণই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণাশক্তি।

লেখক : সাবেক সভাপতি, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close