চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
সেফটি ট্যাংকে নারীর লাশ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শাহিদা বেগম (৬৫) নামে এক নারীর লাশ সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ধনুসাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ। নিহত শাহিদা বেগম একই গ্রামের মাওলানা আবদুল মমিনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মত সোমবার ফজরের নামাজের সময়ে নিহত শাহিদা বেগমের স্বামী মাওলানা আবদুল মমিন স্ত্রীকে নামাজ পড়তে ঘুম থেকে ডেকে দিয়ে নিজে নামাজ পড়ানোর জন্য ধনুসাড়া কুয়েতি মসজিদে চলে যান। মসজিদ থেকে তিনি বাসায় ফিরে স্ত্রীকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে খোঁজেন প্রতিবেশিরাও। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করে শাহিদা বেগমকে পাওয়া যায়নি। এ সময়ে ঘরের পিছনের সেফটি ট্যাংকের কিছুটা দূরে তার ব্যবহৃত জুতো এবং টানাহেচড়া করার দাগ মাটিতে লক্ষ্য করে তারা। জুতো এবং দাগের সূত্র ধরে স্থানীয় লোকজন বাড়ির পাশের একটি সেফটি ট্যাংকিতে মাথা নিচু করা পা উপরে দিকে উঠানো অবস্থায় শাহিদা বেগমের লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা গিয়ে সেফটি ট্যাংকি থেকে লাশ উদ্ধার করে।
স্বামী মাওলানা আব্দুল মমিন জানান, তিনি ফজর নামাজে ঘর থেকে বাহির হয়ে মসজিদে যাওয়ার সময় আমার স্ত্রী শাহিদা বেগমকে ঘুম থেকে জাগিয়ে নামাজ পরার জন্য বলে মসজিদে চলে যান। যাওয়ার সময় তাকে ঘরের বাহির লাইট বন্ধ করতে এবং গেইটের তালা ঝুলিয়ে দেন। মসজিদ থেকে ফিরে গিয়ে গেইটের তালা খুলে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে দেখেন লাইট গুলো জালানো অবস্থায় রয়েছে। ঘরে দরজা বন্ধ কিন্তু পিছনের দরজাটি খোলা থাকলেও ঘরের ভিতরে স্ত্রীকে না পেয়ে খোঁজা শুরু করেন, প্রতিবেশিদের জানান।
শাহিদা বেগমের মেয়ের জামাতা মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘আমার শ্বশুরের সঙ্গে তার ভাইদের জায়গা সম্পত্তির বিষয় দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এই নিয়ে একাধিক সালিশ হয়েছে। তারা আমার শ্বশুরদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে ছিল। আর সকালে সেফটি ট্যাংকিতে শাশুড়ির লাশ পাওয়াটা রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। তাকে কেউ হত্যা করে সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে দেয়।’
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, ধারণা করা হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যা।
"