সাহারুল হক সাচ্চু, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)
উল্লাপাড়া
সরিষা তোলা শুরু, ভালো ফলনে বেশি লাভের আশা

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মাঠ থেকে বছরের দ্বিতীয় প্রধান আবাদের সরিষা ফসল তোলা শুরু হয়েছে। সরিষার ফলন ভালো হারে হচ্ছে বলে কৃষকেরা বলছেন। নতুন সরিষা বেচাকেনায় হাটে তেমন উঠছে না। এ উপজেলা অঞ্চলের কৃষকদের কাছে এখন বছরের দ্বিতীয় প্রধান আবাদের হয়েছে সরিষা ফসল। ভালো ফলনে বেশ লাভ হবে বলে আশা প্রান্তিক কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, এবারের মৌসুমে মোট ২৪ হাজার ৫৭০ হেক্টর পরিমাণ জমিতে সরিষা ফসলের আবাদ হয়েছে। সরিষা আবাদের সরকারী লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ হাজার ৬১১ হেক্টর পরিমাণ জমিতে। এবারে সরকারী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৫৯ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এই উপজেলায় হলদে সেতি ও কালো মাঘি দুই জাতের সরিষার আবাদ হয়ে থাকে। এর মধ্যে বেশি পরিমাণ জমিতে কালো মাঘি জাতের সরিষা আবাদ হয়। কৃষকেরা সেতি, কালো মাঘি ও বারি-১৪ সহ বারি আরো একাধিক জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। গত কয়েক দিন হলো বিভিন্ন এলাকায় আগাম আবাদ করা সরিষা তোলা শুরু হয়েছে।
আরো জানা গেছে, সরিষার ভালো হার ফলন মিলছে। বিঘা প্রতি সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে সাত মণ হারে ফলন হচ্ছে বলে জানা গেছে। সলঙ্গা ইউনিয়নের জগজীবনপুর মাঠে কৃষক জানিক আলী এবারে দুই বিঘা জমিতে দেশি কালো মাঘি জাতের সরিষার আবাদ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে জমির পাকা সরিষা তুলছেন। তিনি আশা করছেন বিঘা প্রতি সাত মণ হারে ফলন হবে।
বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের খাদুলী মাঠে কৃষক দুলাল মিয়া জানান, প্রায় বিশ বিঘা জমিতে দেশি জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। তিনি গত শুক্রবার থেকে সরিষা তোলা শুরু করেছেন। কৃষকেরা সরিষা তুলে সেসব জমিতে বছরের প্রধান আবাদের বোরো (ইরি) ধান ফসল আবাদ করবেন। জানা গেছে কৃষি প্রণোদনায় বহু সংখ্যক কৃষককে বিনামূল্যে সরিষা বীজ ও রাসায়নিক সার দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন, পুরোপুরি সরিষা তোলা হলে ফলনের হার বলা যাবে।
"