হাতিয়া ও বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি
হাতিয়া-বড়াইগ্রাম
আগুনে পুড়ল ৫ বসতঘর স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

নোয়াখালীর হাতিয়ায় বসত ঘরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে মুমূর্ষু অবস্থায় নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তার স্ত্রী মিলনবালাকে ঢাকায় বার্ণ ইউনিটে ভর্তির জন্য নেওয়া হলে পথিমধ্যে তাদের দু’জনের মৃত্যু হয়। এদিকে নাটোরের বড়াইগ্রামে এক কৃষকের বসতবাড়িতে আগুন লেগে বসতবাড়ির ৪টি কক্ষ পুড়ে গেছে। গত শুক্রবার দুই উপজেলার পৃথক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালীর হাতিয়া প্রতিনিধি জানান, গত শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় নেওয়ার পথে অগ্নিদ্বগ্ধ নিমাই চন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু হয়। ঢাকায় হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে স্ত্রী মিলন বালাও মারা যান। এর আগে, ওইদিন রাত ৯টায় উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জোড়খালি গ্রামের মুনদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এতে তাদের ৪টি গরু আগুনে পুড়ে মারা যায়। নিহত নিমাই চন্দ্র মজুমদার একই এলাকার চিন্তাহরণ মজুমদারের ছেলে।
ঢাকায় নেয়ার পথে কুমিল্লায় এ্যম্বুলেন্সে বিকেল ৫টার দিকে নিমাইয়ের মৃত্যু হয় এবং রাত ৯টার দিকে স্ত্রীর মৃত্যু হয়। এদিকে আগুনে ঘরের পাশে লাগোয়া গোয়াল ঘরেও আগুন লেগে যায়। গোয়াল ঘরে বাঁধা ৬টি গরুর মধ্যে ৪টি গরু আগুনে পুড়ে মারা যায়। অন্য ২টি গরুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাতিয়া থানার ওসি (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, চুলার আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাটোরের বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি জানান, উপজেলায় এক কৃষকের বসতবাড়িতে আগুন লেগে বসতবাড়ির ৪টি কক্ষ পুড়ে গেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ছাতিয়ানগাছা গ্রামের কৃষক কফিল উদ্দিনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে তা বসতবাড়ির ৪টি কক্ষে ছড়িয়ে পড়ে এবং মুহুর্তেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বনপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আকরামুল হাসান জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে তার আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এদিকে গতকাল সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তাৎক্ষনিক ভাবে কয়েক ধরণের সহায়তা প্রদান করেন।
"