শামশুল আলম শ্রাবণ, কক্সবাজার
ফের টেকনাফ প্রেস ক্লাবে তালা ছাত্র-জনতার

কক্সবাজারের টেকনাফ প্রেসক্লাবের স্ব-ঘোষিত নতুন কমিটি কে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। পাশাপাশি প্রেসক্লাবে তালা লাগিয়ে মডেল থানার ওসির কাছে চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় টেকনাফের পেশাদার সাংবাদিকদের বাদ দিয়ে স্বঘোষিত কমিটি ঘোষণা করার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ওই তালা লাগিয়ে দেড বলে জানা গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টেকনাফ উপজেলা প্রতিনিধিরা জানায়, টেকনাফ প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির সভাপতি যাকে নির্বাচিত দেখানো হয়েছে সে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের টেকনাফ পৌর শাখার সহ-সভাপতি ও প্যানেল মেয়র ছিলেন। পাশাপাশি সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন টিপু ও আওয়ামী লীগের দোসর ও সাবেক সংসদ আব্দুর রহমান বদির ঘনিষ্ঠজন। যারা দীর্ঘদিন বিভিন্নভাবে এদেশের মানুষকে ভয় দেখিয়ে নির্যাতন করে আসছিল। জুলাই-আগস্টে হাজার হাজার ছাত্র হত্যায় লাশ নিয়ে ট্রল করা সাংবাদিকদের দিয়ে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি পকেট কমিটি। তাই এই কমিটি সম্পূর্ণ অবাঞ্ছিত ঘোষনা করা হলো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিরা আরো জানায়, গত মঙ্গলবার টেকনাফের পেশাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ প্রেসক্লাবে একটা বৈঠক হয়। এতে ছাত্র প্রতিনিধিরা সকল পেশাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচার মুক্ত টেকনাফ প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন করার দাবি জানান। দু’দিন পরে গত শুক্রবার আবারো আওয়ামী লীগের দোসররা রাতের আধাঁরে কমিটি ঘোষণা করেন। এদিকে গত ১৬ বছর ধরে বৈষম্যের শিকার প্রেসক্লাবের সদস্য পদ বঞ্চিত পেশাদার সাংবাদিকরা নতুন কমিটির কড়া সমালোচনা করেন। তারা বলেন, অতি শীঘ্রই পেশাদার সাংবাদিকদের সংযুক্ত করে প্রেসক্লাবে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।
সিনিয়র সাংবাদিক মমতাজুল ইসলাম মনু বলেন, ‘আওয়ামী মতাদর্শের সাংবাদিক না হওয়ায় বহু বছর ধরে আমাকে প্রেসক্লাবের সদস্য করা হয়নি। আমার মত আরো অনেক সাংবাদিক সদস্য হওয়ার যোগ্যতা থাকলেও সদস্য হতে পারেনি শুধুমাত্র আওয়ামী মতাদর্শের না হওয়ার কারণে।’
"