ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠি
মাদরাসা সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

ঝালকাঠি সদর উপজেলার বালিঘোনা আল মাহবুব তামিরে মিল্লাত দাখিল মাদরাসা সভাপতিসহ নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে পরীক্ষায় অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্য করায় জেলা প্রশাসকের কাছে নিয়োগ পক্রিয়া স্থগিত করার আবেদন করেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা।
গত ২৭ জানুয়ারি দুপুরে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক বরাবর এ লিখিত অভিযোগ করেন তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সদরের বালিঘোনা আল মাহবুব তামিরে মিল্লাত দাখিল মাদরাসায় একাধিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ গতবছরের ৭ অক্টোবর শতকণ্ঠ পত্রিকায় একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এক একটি পদের জন্য একাধিক ব্যক্তি আবেদন করলে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৫ জানুয়ারি ঝালাকাঠি ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা ভবনের একাধিক কক্ষে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সভাপতির মনোনীত প্রার্থী আসতে দেড়ি করায় বেলা সাড়ে ১১টায় পরীক্ষা শুরু করে। পরীক্ষা শেষে একঘণ্টা পর ফলাফল ঘোষণার কথা থাকলেও নিয়োগ কর্তৃপক্ষ ফলাফল ঘোষণা না করেই কতিপয় প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করেন।
নিয়োগ কর্তৃপক্ষ স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তাদের পছন্দনীয় প্রার্থীদের নিয়োগ করার লক্ষ্যে মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলও ঘোষণা করেননি। প্রার্থীরা তাদের পরীক্ষার ফলাফল জানতে চাইলে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ ওই সময় ফলাফল ঘোষণা না করে তারা পরদিন ২৬ জানুয়ারি মাদরাসা নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেওয়ার কথা বলে পরীক্ষা কেন্দ্র ত্যাগ করেন।
এ বিষয় নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা প্রার্থী আফসানা মিমি জানান, পরীক্ষার দিন পরীক্ষা শেষে একঘণ্টা পর ফলাফল ঘোষণা করার কথা থাকলেও নিয়োগ কর্তৃপক্ষ ওইদিন ফলাফল ঘোষণা না করে পরদিন মাদরাসা নোটিশ বোর্ডে পরীক্ষার ফলাফলা দেওয়া হবে বলে চলে যায়।
পরদিন মাদরাসায় যেয়ে নোটিশ বোর্ডে কোনো ফলাফল দেখতে না পেয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা প্রতিষ্ঠানটির মাঠে সভাপতি, সুপার ও সহ-সুপারের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাদরাসার সভাপতি, মাদরাসা সুপারসহ নিয়োগবোর্ডে থাকা কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত করে নিয়োগ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।
এ বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, গত ২৫ জানুয়ারি নিয়োগ পরীক্ষা শেষে ফলাফল ঘোষণা না করে পরীক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকদের একটি কক্ষে নিয়োগ কর্তৃপক্ষের মধ্যে থাকা মাদরাসা সভাপতি বোর্ড থেকে আসা একজন কর্মকর্তাকে টাকা দিচ্ছেন। অপরদিকে মাদরাসা সুপারকে অন্য আরেক জনকে ডেকে টাকা দিতে দেখা যায়।
এ বিষয় মাদরাসা সুপার মো. তাজামুল হোসাইনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
অপরদিকে এ বিষয় মাদরাসা সভাপতি মাহবুবের কাছে তার মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, বিধি মোতাবেকই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। যারা সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন তাদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে যারা অকৃতকার্য হবেন সাধারণত তারাই অভিযোগ দেন।
"