সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
পরিত্যক্ত জায়গা থেকে নবজাতক উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি মার্কেটের পেছনে পরিত্যক্ত জায়গা থেকে গরম কাপড়ে মোড়ানো এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার জালাল টাওয়ার নামে একটি মার্কেটের পেছনে পরিত্যক্ত জায়গা থেকে শিশুটিকে কুড়িয়ে পান মামুন মিয়া নামে স্থানীয় এক মুদি ব্যবসায়ী। কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতকটি দুদিন বয়সী এক কন্যা সন্তান। পরে শিশুটিকে ব্যবসায়ী মামুন মিয়া সোনারগাঁ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার জালাল টাওয়ারের পেছনে পরিত্যক্ত নির্জন স্থানে একটি নবজাতকের কান্না শুনতে পায় ব্যবসায়ী মামুন মিয়া। এ সময় এগিয়ে গেলে গরম কাপড়ে মোড়ানো একটি নবজাতককে দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে কোলে তুলে লোকালয়ে নিয়ে আসেন মুদি ব্যবসায়ী মামুন মিয়া। শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ভিড় করেন। কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক কন্যা শিশুটিকে স্থানীয় অনেক লোকজন দত্তক নেওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। স্থানীয় অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তির পরামর্শে ব্যবসায়ী মামুন মিয়া শিশুটিকে সোনারগাঁ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। বর্তমানে শিশুটি পুলিশি তত্ত্বাবধানে সোনারগাঁ উপজেলা সদর হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্চায় রয়েছে।
মুদি ব্যবসায়ী মামুন মিয়া বলেন, জালাল টাওয়ারের পেছনে রাতে সরু রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় অন্ধকারে একটি শিশুর কান্না শুনতে পাই। কাছে গিয়ে দেখি পরিত্যক্তস্থানে কাপড়ে মোড়ানো একটি নবজাতক পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে কোলে তুলে নিলাম। শিশুটির মুখ ছিল সামান্য খোলা। প্রচুর পরিমাণ মশার কামড়ে শিশুটির মুখমণ্ডল লাল হয়ে যায়, যন্ত্রণায় শিশুটি কান্না করছিল। পরে কোনো কিছু চিন্তা-ভাবনা না করে শিশুটিকে নিরাপদ করার জন্য লোকালয়ে নিয়ে আসি। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শে শিশুটিকে সোনারগাঁ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি। শিশুটিকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখতে রাতেই পুলিশি হেফাজতে উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দ্রুত শিশুটির পরিচর্যাসহ দেখভাল শুরু করে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারী জানান, কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটিকে উপজেলা সদর হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাসহ যথাযথ চিকিৎসা ও দেখভাল করা হচ্ছে। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে। এছাড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে খবর দেওয়ার পর তিনি সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। শিশুটিকে কে বা কারা ফেলে চলে গেছে সে বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। শিশুটিকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার মাধ্যমে আদালতে পাঠানো হবে। আদালত যে নির্দেশ দিবেন সে অনুযায়ী শিশুটির বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
"