গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

  ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

গোবিন্দগঞ্জ

কৃষকের জমিতে সেতু কর্মকর্তাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চারপাশে ফসলি জমি, আশপাশে কোনো সড়ক নেই। এমন স্থানে কৃষকের জমি দখল করে সেতু নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন জমির মালিকানা দাবিদার মুনছুর আলীর ছেলে মাজহারুল ইসলাম পলাশ।

পলাশের অভিযোগে জানা গেছে, বিশ্বনাথপুর গ্রামের মুনছুর আলী একটি জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলসহ চাষাবাদ করে আসছেন। হঠাৎ জমিটিতে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। এতে বাধা দিলেও তা উপেক্ষা করে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলেও এর প্রতিকার না পেয়ে আদালতে মামলা করেন তিনি। বর্তমানে বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে।

জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রামীণ রাস্তায় ১২ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। কোটি টাকার কাজটি পান গোবিন্দগঞ্জের ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম রফিক। তিনি জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা যেখানে জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সেখানেই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বিশ্বনাথপুর ও তালুক রহিমাপুরের মাঝামাঝি ফাঁকা জমিতে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এটি কাজে আসবে না। সেতু যথাস্থানে নির্মাণ না করে কোটি টাকা পানিতে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান দুলু জমি দখল করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দিয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন।

যদিও সেতু নির্মাণের জমিটি খাস খতিয়ানের দাবি করে গোবিন্দগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য দুলু বলেন, প্রকল্প কর্মকর্তা সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে পারছিলেন না। তাই জনস্বার্থে এ কাজে সহযোগিতা করেছেন বলে দাবি তার।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জিন্দার আলী বলেন, কাজ না করলে প্রকল্পের টাকা ফেরত যাবে, তাই করা। তাছাড়া জমিটি খাস। যদি রাস্তা না থাকে, তবে বিএনপির লোকজন সেটি করে দেওয়ার চুক্তি নিয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close