সালাহউদ্দিন শুভ, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)

  ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল

গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফল রায়হান

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের খলিলপুর গ্রামের রায়হান আহমেদ বাড়ির পাশের এক শতক জায়গায় লাগিয়েছেন গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ। সেই গাছ এখন বড় হয়ে এসেছে ফলন। বড় বড় পেঁয়াজ গুলো মাটির নিচ থেকে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। খেত থেকে পেয়াজ সংগ্রহে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক রায়হান। গ্রীস্ম ও শীতকালীন পেয়াজ সমানভাবে করতে পারি। তাহলে আমাদের আর আমদানী করতে হবে না বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা।

কৃষক রায়হান আহমেদ জানান, লালতীর সিড লিমিটেড এর কাছ থেকে গ্রীস্মকালীন পেয়াজ এর বীজ ও চাষাবাদ পদ্ধতি জানতে পারেন তিনি। বীজ তলা তৈরি করে এই পেয়াজের বীজ লাগান তিনি। গাছ বড় হলে ছত্রাক নাশক ছিটিয়ে দেন। এখন তার প্রতিটি গাছের নিচে বড় বড় পেয়াজ ধরেছে। পেয়াঁজগুলো দেশী পেঁয়াজের মতো স্বাদ। এখন তিনি বড় জায়গা নিয়ে পেঁয়াজ চাষ করার পরিকল্পনা করছেন।

রায়হান আরও বলেন, পেঁয়াজ চাষে তেমন খরচ নেই। এটি লাভ জনক একটি ফসল। শুধু পেঁয়াজের ঘুড়ায় পরিচর্যা করতে হয়। এ ছাড়া কোনো খরচ লাগে না।

একই এলাকার কৃষক জাহেল মিয়া বলেন, আমাদের এলাকায় রায়হান পেয়াজের চাষ করে সফল হয়েছেন। আগামীতে আমরা তার কাছ থেকে পেঁয়াজের বিজ সংগ্রহ করে চাষ করবো। রায়হানের পেয়াজের চাষ এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

লালতীর সিড লিমিটেড এর শ্রীমঙ্গল ডিভিশনের ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী জানান, লালটির সিড এর তিনটি হাইব্রিড পেয়াজের জাত বাজারে আছে। এক শতক জায়গায় ৩০ গ্রাম বীজ লাগে। প্রায় তিন মাস এর ভিতরে ফলন আসে। পেয়াজগুলো ২০০-৩৫০ গ্রাম ওজনের হয়ে থাকে। তিনি জানান, সিলেট বিভাগে এর আগে বানিজ্যিক ভাবে গ্রীস্মকালীন পেয়াজ চাষাবাদ হয়নি। তারাই জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখাঁন খলিলপুর গ্রামে একজন কৃষকে উদ্ভুদ্ধ করে পেয়াজ চাষে। লালতীর সিড লিমিটেড এর তিনটি জাতের (এলটি হাইব্রিড,বিজিএস ৪০৩ ও রেড হিল) পেয়াজের বীজ সরবরাহ করেন। এরমধ্যে তুলনামূলকভাবে বিজিএস ৪০৩ ভালো ফলন এসেছে। তিনি মনে করেন লালতীরের এই গ্রীস্মকালীন পেয়াজ যদি ব্যাপকভাবে চাষাবাদ হয় তাহলে পরনির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না। জাতীয় অর্থনীতিতে এই পেয়াজ বড় ভুমিকা রাখবে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, খলিলপুরে লালতীরের প্রদর্শনী মাঠে অনেক ভালো ফলন হয়েছে। আমরা চাই এটি কৃষকদের মাঝে ব্যাপক বিস্তার হোক। আমরা প্রচুর পরিমান পেয়াজ আমদানী করে আনি। আমরা যদি গ্রীস্ম ও শীতকালীন পেয়াজ সমানভাবে করতে পারি। তাহলে আমাদের আর আমদানী করতে হবে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close