নাটোর প্রতিনিধি

  ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫

নাটোর

ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে মাধনগরে পিঠা উৎসব

বাঙালির ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ পিঠা-পুলি। হারিয়ে যেতে বসা এই সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ‘এসো দেশ বদলাই পৃথিবী বদলাই’ স্লোাগান নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উপলক্ষে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা মাধনগর ডিগ্রি কলেজ মাঠে-মাধনগর স্টুডেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ও নলডাঙ্গা উপজেলা প্রসাশনের সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে অংশ নেন ২০ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা।

পিঠা উৎসবে ছিল হৃদয় হরণ পিঠা, ভাপা ও চিতই, পাটিসাপটা, নকশী পিঠা, মালপোয়ার মতো হরেক রকমের পিঠার পসরা। এ আয়োজন দেখতে আর সুস্বাদু পিঠার স্বাদ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন সব বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশুরা। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থীরা পিঠা মেলায় এসে তাদের পছন্দের পিঠার স্বাদ নেন এবং নতুন ধরনের পিঠার সঙ্গে পরিচিত হন।

সাইফুল ইসলাম, আব্দুল মান্নানসহ দর্শনার্থীরা বলেন, অনেক দিন পর এমন একটি উৎসব উপভোগ করলেন তারা। পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুব ভালো সময় কাটল তাদের। দর্শনার্থীরা এমন আয়োজন প্রতি বছর ও বড় পরিসরে করার দাবি জানালেন।

স্কুলছাত্রী সূবর্না, অন্তরাসহ দর্শনার্থীরা জানান, আগে দাদির কাছে পিঠার গল্প শুনেছিল তারা। কিন্তু এ রকম অভিজ্ঞতা কখনো হয়নি। এখানে এসে খুব ভালো লেগেছে। এই উৎসব তাদের হারানো ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দিয়েছে।

আয়োজনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী রাহা, মরিয়ম, মাইশা খানম বলেন, তাাদের তৈরি পিঠা যখন মানুষ পছন্দ করে তখন মনে হয় তাদের পরিশ্রম সার্থক। এমন আয়োজন বার বার হলে তারা আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারবে। এ রকম উৎসব তাদের কাজে উৎসাহ জুগিয়েছে।

রিয়াল আহম্মেদ, নাভিদ, সৈকত, মাহি, আশিক, সজিব, রানা, সাকিবসহ মাধনগর স্টুডেন্ট সোসাইটির আয়োজজকেরা জানান, তাদের উদ্দেশ্য ছিল হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করা। পিঠা শুধু খাবার নয়, এটি বাঙালির সংস্কৃতির অংশ। নতুন প্রজন্মকে এটি জানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নলডাঙ্গা উপজেলার নিবাহী কর্মকর্তা রেদওয়ানুল হালিম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশিকুর রহমান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কিশোয়ার হোসেন, নলডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাফিজ বলেন, তীব্র শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলা এ পিঠা উৎসবে সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষদের মনে এনে দিয়েছে নতুন আনন্দ। নলডাঙ্গার-মাধনগর মানুষদের জন্য এটি ছিল শীতকালীন উৎসবের এক ব্যতিক্রমী উদযাপন। বিলুপ্তপ্রায় এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে প্রতি বছর এই ধরনের উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close