পটুয়াখালী ও হাটহাজারি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতি
পটুয়াখালীতে পুড়ল ৬ দোকান হাটহাজারীতে ১২ বসতঘর

পটুয়াখালী শহরের একটি এলাকায় আগুনে পুড়ে গেছে ৬টি দোকান। গত সোমবার রাত দেড়টার দিকে কলাতলা হাউজিং স্টেটের গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দোকানমালিকরা অর্ধকোটে টাকার ক্ষতি দাবি করলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ৩০ লাখ টাকা নিরূপন করেছে।
এদিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক অগ্নিকাণ্ডে ১২ পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে একটার দিকে উপজেলার গুমানমর্দন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফয়েজুল্লাহ সারাং বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকা হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা জানান।
পটুয়াখালী প্রতিনিধি জানান, জেলা শহরে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো হচ্ছে আব্দুর রহিমের একটি বড় মুদি দোকান, খুদিরামের সেলুন, শাহিনের লেপ-তোষকের দোকান, আলামিনের ভাতের হোটেল এবং একটি চায়ের দোকান। এ ছাড়া মোতালেবের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। তবে অগ্নিনির্বাপন বিভাগের হিসেবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিকভাবে ৩০ লাখ টাকা নিরুপন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত আনুমানিক দেড়টায় আগুন লাগার পর তারা নিজেরা নেভানোর চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন লাগার ২০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে পাশের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে না যাওয়ায় ও বিস্ফোরণ না হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিকদের পক্ষে খাবার হোটেল মালিক আলামিন জানান, অগ্নিকাণ্ডে আনুমানিক অর্ধ কোটির টাকার ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মুদি দোকানী আব্দুর রহিমের। আগুনের খবর পেয়ে সে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান মো. রাজিব জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাদের চারটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে ২টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। আগুনের সূত্রপাত প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান,
আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো হলো মো. আলি, মো. শরীফ, মো. আবু তৈয়ব সুজন, মো. সালাউদ্দিন, মো. দিদার, মো. এমদাত, মো. সেলিম, মো. ইসলাম, মো. শুক্কুর, মো. ফারুক, মো. আবু বক্কর ও মো. পারভেজ।
স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত একটার দিকে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ১২টি বসত ঘরে রক্ষিত আসবারপত্র, মালামাল, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে যায়। খবর পেয়ে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়তন্ত্রে আনে।
এছাড়া হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম মশিউজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বারো পরিবারের প্রত্যেককে নগদ অর্থ ও কম্বল প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেন।
জানতে চাইলে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জানান, আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও কারন তদন্তাধীন আছে। পরে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।
"