বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
অর্ধশত গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা যুবলীগ নেতার

পটুয়াখালীর বাউফলে মদনপুরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়া (পৌর শহরের কাছে) মৃৎশিল্পী বিশ্বেশ্বর পালের বাগান বাড়ি থেকে অর্ধশত ফলজ ও বনজ বৃক্ষ কেটে ফেলেছে এক যুবলীগ নেতা ও তার লোকজন। গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম গাঙ্গুলী ও তার ভাই গৌতম গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে ৬-৭ জন শ্রমিক ওইদিন সকাল থেকে বিশ্বেশ্বর পালের বাগান বাড়িতে ঢুকে, চাম্বুল, মেহগুনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির কমপক্ষে ৫০টি মূল্যবান ও পরিবেশবান্ধব গাছ ইলেকট্রিক্যাল করাত দিয়ে কেটে ফেলে। পরে এই ঘটনায় বিশ্বেশ্বর পালের ছেলে শিশির পাল ৯৯৯-এ কল করলে ও বাউফল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সবাই পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ কাটা গাছগুলো জব্দ করে।
বিশেশ্বর পালের আরেক ছেলে তরুন পাল জানান, তাদের এক একর ৩৫ শতাংশ জমিতে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বৃক্ষ লাগানো হয়েছে। এই বাগান বাড়িতে উত্তম ও গৌতম গাঙ্গুলী ঢুকে গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। উত্তম ও গৌতম গাঙ্গুলী ‘সন্ত্রাসী’। তাদের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগের সময় তাদের কর্মকাণ্ডে স্থানীয় মানুষ অতিষ্ঠ ছিলেন। তারা বিভিন্নভাবে মানুষকে হয়রানি করে করে টাকা আদায় করে থাকে।
বাউফল থানার এসআই সাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বহু গাছ কেটে ফেলেছে। এ সময় উত্তম গাঙ্গুলীর স্বজনরা গাছগুলো তাদের বলে দাবি করলে আমরা কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসার জন্য নির্দেশ দেই। কিন্তু গতকাল রবিবার বিকেলে পর্যন্ত কেউ থানায় আসেনি। এ ঘটনায় বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে যুবলীগ নেতা উত্তম গাঙ্গুলীর মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ গাছ জব্দ করেছে।
এদিকে অর্ধশত গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের বিভাগীয় সমন্বয়কারী রফিককুল আলম। তিনি বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড পরিবেশবিরোধী, বিধ্বংসী। এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
"