তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
তেঁতুলিয়া পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়
২০ শিক্ষকের ১৩ পদই শূন্য, ব্যাহত পাঠদান
পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট চরমে। বর্তমানে ২০ জন শিক্ষকের মধ্যে ৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা দিয়ে প্রতিষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে চার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
জানা যায়, বিগত ১৯৫৯ সালে প্রায় ১৩ একর জমির ওপর তেঁতুলিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তেঁতুলিয়া মডেল থানা সংলগ্ন বিদ্যালয়টির ১০ একর ৬৩ শতক জমির ওপর একাডেমিক ভবন, ভোকেশনাল বিল্ডিংসহ অন্যান্য অবকাঠামো অবস্থিত এবং বিদ্যালয়ের সম্মুখে বিশাল আকৃতির একটি ফুটবল খেলার মাঠ। বিদ্যালয়ের পিছনের অংশে খালি জমিতে বর্গাচাষিরা চাষাবাদ করেন।
তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরের পাশে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এ বিদ্যাপীঠে উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়ার জন্য ভর্তি হন। বিগত দিনে সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফল তৎকালীন রাজশাহী বোর্ডের অধীন তেঁতুলিয়া উপজেলার সেরা বিদ্যালয়। বিগত সরকারের আমলে ২০১৮ সালের ১২ নভেম্বর বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। তেঁতুলিয়া উপজেলার একমাত্র সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা আরো বাড়তে থাকে। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্নের দীর্ঘসময়ে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অনেক প্রবীণ শিক্ষক অবসরে গেছেন। বর্তমানে ২০ জন শিক্ষকের মধ্যে ৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা দিয়ে প্রতিষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা জানান, তাদের বিদ্যালয়ে প্রতিদিন সপ্তম ঘণ্টা পর্যন্ত ক্লাসের পাঠদান থাকলেও তীব্র শিক্ষক সংকট থাকার কারণে ৩-৪টি করে ক্লাস হয়। শিক্ষকের অভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ক্লাস করতে পারেন না।
তেঁতুলিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকায় বিপুলসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর প্রতিদিনের শ্রেণির পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে সরকারিভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষকের শূন্যপদগুলো পূরণ করা হলে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান সুগম হবে।
"