আল আমিন, বাবুগঞ্জ (বরিশাল)
মধ্যবকশিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
কাঠ-বাঁশের ছাপড়ায় চলে পাঠদান, শ্রেণিকক্ষ সংকট
বরিশালের বাবুগঞ্জ
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মধ্যবকশিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত হওয়ায় কোনোরকম চলছে শিক্ষাব্যবস্থা।
জানা যায়, ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মধ্যবকশিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০০ সালে একটি ৪ কক্ষ বিশিষ্ট ভবন পায়। সেখানেই চলছিল বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একতলা বিদ্যালয় ভবনের কক্ষ মাত্র চারটি। একটি কক্ষে শিক্ষকরা দাপ্তরিক কাজ করছেন। আর ৪টি কক্ষে চলছে ৫টি ক্লাসের পাঠদান। বাকি অন্যটি শিশু শ্রেণির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব কক্ষে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছয়টি শ্রেণির পাঠদান করা হচ্ছে। জায়গার সংকুলান না হওয়ায় দুইজনের বেঞ্চে বসতে হচ্ছে ছয়জন শিক্ষার্থীকে। এ ছাড়া এক শ্রেণির শব্দের কারণে অন্য শ্রেণির ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষকদের বেতনের টাকায় মাঠের কোনে নির্মিত কাঠ-বাঁশের ছাপড়া ঘরে চলছে পাঠদান। শীতের আবহাওয়া ক্লাস করতে কষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শ্রেণিকক্ষ সংকটের পাশেপাশি ওয়াসব্লক এর অভাবে বিপাকে পরেছে শিক্ষককৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা। শ্রেণিকক্ষ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ৪টি কক্ষ বিশিষ্ট ভবনের দুইটি কক্ষে চলছে পাঁচটিতে পাঠদান। বাকি দুটি কক্ষের একটি শিক্ষকদের অফিস ও অন্যটি শিশু শ্রেণির জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষকদের বেতনের টাকায় মাঠের কোনে নির্মিত কাঠ-বাঁশের ছাপড়া ঘরে চলছে পাঠদান। শীতের আবহাওয়া ক্লাশ করতে কষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। স্থানীয়রা ও অভিভাবকরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে একটি ওয়াসব্লকসহ একটি পাকা ভবন দাবি করেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম পর্যন্ত ছয়টি শ্রেণিতে ১২০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে। প্রতিবছর শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক বলেন, শ্রেণিকক্ষ কম থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হয়। এক শ্রেণির পাঠদানের শব্দে আরেক শ্রেণির পড়াশোনা বিঘ্নিনত হয়। বাচ্চাদের মনোযোগের ঘাটতি হয়।
প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ কবির হোসেন জানান, শ্রেণিকক্ষ সংকটে বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে নিজেদের টাকায় ছাপড়া ঘর তুলে পাঠদান করানো হয়। এমত অবস্থায় একটি নতুন ভবন জরুরি হয়ে পরেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফসিয়া রহমান জানান, কিছু বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন বরাদ্দ হয়ে আসছে। সেই তালিকায় যদি ওই বিদ্যালয়ের নাম না থাকে, তাহলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন ভবনের জন্য আবেদন করা হবে।
"