সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
ভাসানী ব্যক্তি ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন
সিরাজগঞ্জে আলোচনায় বক্তারা
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সবসময় ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন। ক্ষমতার কাছে থাকলেও ক্ষমতার মোহ তাকে কখনও আবিষ্ট করেনি। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধে। তার সাধারণ জীবনযাপন এ দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন। শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য মওলানা ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
সিরাজগঞ্জে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল শ?নিবার দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মওলানা ভাসানী কলেজ হলরুমে এই আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। এর আয়োজন করে সিরাজগঞ্জ মওলানা ভাসানী কেন্দ্র।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম খোকনের সভাপতিত্বে ও সমাজকর্মী আবদুল আলীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কোলকাতার ভাসানী চর্চাকেন্দ্রর প্রতিষ্ঠাতা গবেষক, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা সৌমিত্র দস্তিদার ভাসানীর ওপর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সুইডেন-বাংলাদেশ ফোরামের রাজনীতিক নির্বাহী ড. জাহাঙ্গীর হোসেন খান। ভাসানী পরিষদের সদস্যসচিব আজাদ খান। বক্তারা বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অধিকারবঞ্চিত, অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও তার জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
"