আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
ফসলি জমিতে পুকুর, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
বগুড়ার আদমদীঘিতে অবৈধভাবে তিন ফসলি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। ভূমি আইন লঙ্ঘন করে আফজাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি তিন ফসলি জমিতে অবাধে মাটি খনন করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উজ্জ্বলতা গ্রামে। গত কয়েকদিন ধরে ওই গ্রামে মাটি খনন করে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিবহন করায় আশপাশে অন্যান্য ফসলি জমির আবাদ ও পাকা সড়ক নষ্ট হচ্ছে। ফলে জনসাধারণের ভোগান্তি ও কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে এলেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।
জানা যায়, আমন ধান চাষ শেষে উপজেলায় সব কৃষকের ফসলি মাঠ ফাঁকা পড়ে থাকে। যার ফলে কৃষকদের বুঝিয়ে জমি ও পুকুর খনন করতে শুরু করে মাটি ব্যবসায়ীরা। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাটি উত্তোলন করতে দেখা যায়। কেউ কৌশলে রাতে, আবার কেউ ভোরবেলা মাটি খনন করছেন। আর পরিবহন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ফিটনেস বিহীন ট্রাক্টর। এতে পাকা সড়ক ও অন্যান্য ফসলি আবাদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষকরা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্তসহ সড়কে চলাচল করা পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
সরজমিনে গত বুধবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উজ্জ্বলতা গ্রামের আফজাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি প্রায় তিন বিঘা ফসলি জমিতে মাটি খনন করে পুকুর তৈরি করছেন। এবং রাতে মাটি উত্তোলন শেষে এক্সকাভেটর (ভেকু মেশিন) জঙ্গলের আড়ালে লুকিয়ে রাখেন। আর সকালে লোকজনের কাছে মাটি বাণিজ্য করে মুনাফা লুফে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে দিনের পর দিন এমন কার্যক্রম দেখেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা সুলতানা জানান, সরেজমিনে পরিদর্শন করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
"