ইফতেখার উদ্দিন, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম)
হাটহাজারী-ফটিকছড়ি
উদ্বোধনের অপেক্ষায় বেইলি সেতু, হালদার দুইপাড়ে উচ্ছ্বাস
উদ্বোধনের অপেক্ষায় লাখো মানুষের কাঙ্ক্ষিত চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলার সেতু বন্ধন নাজিরহাটের পুরাতন সেতু খ্যাত ফটিকছড়ির বেইলি সেতুটি। চার কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ের এই সেতুটি দুই উপজেলার যোগাযোগের সব থেকে পুরনো সেতু যা নতুনরুপে এটি দিয়ে যান ও মানুষ চলাচলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা প্রকৌশলী।
জানা গেছে, ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ আমলে হালদা নদীর উপর নির্মিত নাজিরহাট হালদা সেতু। মুক্তিযুদ্ধসহ বহু কালজয়ী ইতিহাসের স্বাক্ষী সেতুটি। পরিত্যক্ত হওয়ার কয়েকযুগ পর ২০২৪ সালের ১৬ মে বৃহস্পতিবার পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু হয় নাজিরহাট পুরাতন হালদা সেতুর। চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলার সেতুবন্ধন হলেও শতবর্ষী এ সেতু যান চলাচলের ধারণক্ষমতা হারিয়েছে অনেক আগেই। ২০১৮ সালের দিকে ফটিকছড়ির স্থানীয় প্রশাসন সেতুর দুথপাশে লোহার গ্লীল দিয়ে জনসাধারণ চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করলেও নিরুপায় জনগণ গ্লীল ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ নাজিরহাট পুরাতন হালদা সেতু ব্যবহার করতে থাকেন। ফলে বেড়ে যায় জীবনহানির শঙ্কা। সেতুটি অকেজো হওয়ায় নাজিরহাট বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামে। তবে- জনগণের দাবির মুখে বিগত সরকার এ সেতুরস্থলে আরেকটি বেইলি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ১০ ফুট প্রস্থ এবং ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের নির্মাণাধীন বেইলি সেতুর কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এতে ব্যয় হয় চার কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ বছর জানুয়ারীতে যান ও জনসাধারণের চলাচলের জন্য বেইলি সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
নাজিরহাট আদর্শ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাছির উদ্দীন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, এ সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে সবার প্রাণের দাবি বাস্তবায়ন হওয়ায় আমরা আনন্দিত এবং যাঁরা অবদান রেখেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
এদিকে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ গণমাধ্যমে জানান, সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধীন হালদা নদীর ওপর নাজিরহাটে নির্মাণাধীন বেইলি সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে। দ্রুত এটি যান ও মানুষ চলাচলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এদিকে সেতুটি উদ্ভোধন হলে নাজিরহাটের দুই পাড়ের মানুষের, ব্যবসায় নতুন বেগে প্রাণ সঞ্চার হবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
"