কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুর
কাহারোলে ১৭৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের প্রস্তুতি
দিনাজপুরের কাহারোলে এখন মাঠজুড়ে পেঁয়াজের চারা রোপণ ও পরির্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। শীত ও তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাষিরা তাদের জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ ও পরির্যা করছেন দিনমজুর নিয়ে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ১৭৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
গত মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, পেঁয়াজ চাষিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পেঁয়াজের চারা তুলছেন কেউবা আবার আঁটি বাঁধছেন এবং পরিচর্যাও করছেন। সব মিলিয়ে অত্র উপজেলা বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে পেঁয়াজ চাষাবাদের মহোৎসব চলতে দেখা যায়।
উপজেরা মুকুন্দপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর, মহদিপুর গ্রামের পেঁয়াজের চারা বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম ও আব্দুল কাদের জানান, তারা এবার ১২ ও ২০ শতক জমিতে বীজতলায় পেঁয়াজের ৫ কেজি বীজ বপন করছেন। তারা গত শনিবার কাহারোল হাটে পেঁয়াজের চারা বিক্রি করছেন প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকার মতো। তাদের মোট খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা।
অপর চাষি আবদুল হামিদ বলেন, আমি এ বছর ২ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ আবাদ করেছি। অনেকেই আবার মন্তব্য করেছেন আবহাওয়া ভালো থাকলে আশা করি, পেঁয়াজের ভালো ফলন হবে। তবে এ বছর শ্রমিক, সার, ওষুধ, বীজের দাম বেশি তাই খরচও অনেক হারে বেড়ে গেছে। পেঁয়াজের ফলন ভালো না পেলে অনেক পেঁয়াজচাষি লোকসানের আশঙ্কা করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো যাতে হয়, সে জন্য কৃষি বিভাগ পেঁয়াজ চাষিদের সব সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এ বছর বেশি জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে তাদের উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষদের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
"