রায়হান সিকদার, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)

  ০৭ জানুয়ারি, ২০২৫

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া

কাঠের সেতুতে অর্ধযুগ পার রক্ষণাবেক্ষণে এলাকাবাসী

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের টংকাবতী খালের ওপর নির্মিত কাঠের সেতুতে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে কয়েক গ্রামের মানুষ। এটি শুষ্ক মৌসুমে সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করা হয়। বর্ষা এলে খালের পানির স্রোতে ভেঙে পড়ে। এলাকাবাসীর অর্থায়নে প্রায় অর্ধযুগ ধরে এভাবে জোড়াতালি দিয়ে টিকিয়ে রাখা হচ্ছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ ৪ নম্বর ওয়ার্ডস্থ পূর্ব মুহুরি পাড়া সংলগ্ন টংকাবতী খালের ওপর প্রায় ছয় বছর আগে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। নিত্যদিনের যাতায়াতকে সহজ ও নির্বিঘ্ন করতে মুহুরি পাড়া, রাহাত আলী পাড়া, ঘোনা পাড়া, ছৈয়দ পাড়া, পশ্চিম মুহুরি পাড়া, আমির খান পাড়া, চৌধুরি পাড়া এবং বাশখালিয়া পাড়াসহ আশেপাশের আরও কযয়েকটি পাড়ার বাসিন্দাদের সহায়তায় সেতুটি নির্মাণ করা হয়। যেটি বিগত বর্ষায় কযয়েকবার ভেঙে পড়েছে। পরবর্তীতে তা সংস্কার করে যাতায়াতের উপযোগী করা হয়। সর্বশেষ গত বর্ষায় খালের পানি বেড়ে আবারও ভেঙে পড়ে। সেখানে এখন লোহা, কাঠ এবং বাঁশ দিয়ে স্থানীয়দের অর্থায়নে সেতুটি পূণরায় কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে।

মোস্তাফিজুর রহমান সওদাগর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি নিয়ে কষ্টে আছি। স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সংস্কার করেছি। কিন্তু বারবার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভেঙে পড়ে। এ কাজটি যদি সরকারিভাবে করে দেয় আমরা খুবই উপকৃত হবে সবাই। সেতুটির কারণে পাঁচ মিনিটের পথ ঘন্টাব্যাপী বিকল্পপথে ঘুরে যেতে হচ্ছে।

এলাকার বাসিন্দা হোসেন বলেন, সেতুটির জন্য এতো বছরেও সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পায়নি। জনসাধারণের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থীদের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তাদেরও বিকল্পপথে কষ্ট করে যেতে হচ্ছে। এ ছাড়া এই সেতুটি পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইফরাদ বিন মুনীর বলেন, সেতুটি বর্তমানে এলজিইডির কোনো প্রকল্পের ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত নেই। সেতু সংক্রান্ত প্রতিবেদন আমি দ্রুত আমার নির্বাহী প্রকৌশলী মহোদয় বরাবর প্রেরণ করব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইনামুল হাছান বলেন, জনগণের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close