আতিকুর রহমান আজাদ, ডাসার (মাদারীপুর)
মাদারীপুরের ডাসার
সরকারি জমি দখল করে ভবন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
মাদারীপুরের ডাসারে সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে পাঁকা স্থাপনা নির্মাণ করে আসছেন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এদিকে সরকারি জমি দখলের ঘটনায় প্রশাসনের রহস্যজনক ভূমিকা রয়েছে দাবি করেন স্থানীয় সচেতন মহল। এতে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি জায়গায় প্রতিনিয়ত ব্যক্তি মালিকানায় প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে।
প্রায় একযুগ ধরে সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠা ও নতুন করে পাঁকা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। অপরদিকে প্রশাসন এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ না করায়, জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ডাসার উপজেলার ৩৩ নম্বর ধামূসা মৌজার ১ খতিয়ানে বিআরএস ৭২১ নম্বর দাগে খাল ও ৭২৮ নম্বর দাগে রাস্তা সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। ওই জমির কিছু অংশ দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালী সৈয়দ শাহ আলম ও সৈয়দ বেলায়েত হোসেন পানি নিষ্কাশনের খালটি ভরাট করে পাকা বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন সরেজমিনে সরকারি জমি দখল করে নির্মাণ শুরু করায় সম্প্রতি তাদের কাজ বন্ধ করে দেন প্রশাসন। কিছু দিন পুনরায় ওই নির্মাণ কাজটি চালু করেন। এতে করে প্রশাসনের রহস্যেজনক ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
ডাসার কাঁঠালা বাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল আলম লাহিদ বলেন, খালটি পানি নিষ্কাশনের জন্য খুবই প্রয়োজন। এটি একটি উপজেলার মধ্যে বড় বাজার। সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে যদি সরকারি খাতে অর্ন্তরভুক্ত করে দোকান বরাদ্দ দেন, তাহলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারে।
এদিকে দখলদার সৈয়দ শাহ আলম বলেন, ‘আমার পাকা ভবনটি যদি সরকারি জায়গায় পরে, তাহলে আমি ভেঙে ফেলবো।’ এ সময় সৈয়দ বেলায়েত হোসেনের মুঠোফোনে ফোন করে না পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
ডাসার উপজেলা (ভূমি) সার্ভেয়ার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, সরকারি খাল ও রাস্তার কিছু অংশে স্থাপনা রয়েছে। বিষয়টি ইউএনও মহদয়কে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, সার্ভেয়ার এখনো চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়নি বিধায় কিছু বলাতে পারছি না। যদিও পুনরায় কাজ করার বিষয়টি দেখা হবে।
"