শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

  ০৬ জানুয়ারি, ২০২৫

শ্রীপুরে বেড়েছে চুরি-ডাকাতি

গাজীপুরের শ্রীপুরে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে চুরি ডাকাতির ঘটনা। রাতে পুলিশের স্বাভাবিক টহল আগের মতো নেই। এই সুযোগে সংঘবদ্ধ চোর ডাকাতদের উপদ্রবে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। গত তিন মাসে যতগুলো চুরি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে তার সবই অপেক্ষাকৃত নির্জন এলাকায়। ভুক্তভোগী স্থানীয়দের দাবি উপজেলাজুড়ে পুলিশ টহল জোরদারের।

ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে, আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি চুরি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যার বেশির ভাগই গরু চুরি ও ফাঁকা বাসায় জানালার গ্রিলগেটে বা ঘরের তালা ভেঙে টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা। সম্প্রতি গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর গোসিংগা ইউনিয়নের বাউনি গ্রামের কৃষক মোস্তফার ৩টি গরু চুরি হয়। একই রাতে কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য সুলতান উদ্দিন সরকারের বাড়িতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। ২০২৪ এর ২৩ ডিসেম্বর পৌরসভার লোহাগাছ গ্রামে হারুন মিয়ার ৬টি গরু, এর আগে, ১৩ ডিসেম্বর লোহাগাছ গ্রামের মাহবুব মিয়ার তিনটি, একই রাতে রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ডুয়াইবাড়ি গ্রামের দুলাল মিয়ার দুটি, হেলাল উদ্দিনের তিনটি, আশরাফ এর দুটি, শাজাহানের একটি গরু চুরি হয়। এ ছাড়া ১৫ আগস্ট উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংদীঘি, কাওরানবাজার ও ইন্দ্রপুর গ্রামে দুইরাতে ১৫টি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। এছাড়া আরো নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় গরুসহ চুরি ডাকাতি বেড়ে যাওয়ার কারণে কৃষকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রায় প্রতি রাতেই চুরি হচ্ছে গরু। টহল পুলিশ ও স্থানীয় পাহারাদার আরও নজরদারি বাড়ালে চুরি ঠেকানো সম্ভব হবে। এসব চুরির ঘটনায় অনেকে থানায় অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত চোরকে শনাক্ত, মালামাল উদ্ধার বা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

উপজেলায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদিন মন্ডল জানান, তিন মাসে (২০২৪ এর অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর) চুরি ডাকাতি সহ থানায় ২০টির মতো মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে গত ২৩ ডিসেম্বর সাফারি পার্ক থেকে চুরি হয়ে যাওয়া আট লাখ টাকা মুল্যের দুইটি মেকাও পাখি উদ্ধার সহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাতখামাইর ও আবদার এলাকা থেকে চুরি হয়ে যাওয়া অটোরিকশা সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া চন্নাপাড়া এলাকায় চুরির ঘটনায় ১৯ লাখ টাকার মালামাল সহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বেশিরভাগ মামলার আসামিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। যেসব আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি, তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close