কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জে অভিযোগ
সেচ প্রকল্পের টারশিয়ারি খাল সংস্কারে অনিয়ম
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে তিস্তা সেচ প্রকল্পের খোলাহাটি থেকে কাবলারডাঙ্গা পর্যন্ত টি২এস৭টি টারসিয়ারি খাল সংস্কার কাজের ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অ্যাকোয়াভুক্ত জমির মাটি কেটে ডাইকে দেওয়া, ক্যানেলের (বাঁধ) ডাইকের মাটি কমপ্যাকশন না করা ও পলিথিন ছাড়াই মাটির ওপর যেনতেনভাবে সিসি ঢালাই দেওয়ায় বর্ষায় ডাইক ধসে যাবে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, ওই টারসিয়ারি ক্যানেলের উভয় ডাইক পুনর্বাসন ও শক্তিশালীকরণে ২০২২ সালে দরপত্র (টেন্ডার) হয়। ৭ কোটি ৮ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে পটুয়াখালীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবুল কালাম আজাদ কাজ পায়। নিয়ম বহিভূর্তভাবে ঠিকাদারের লোকজন ভেকু (এক্সাভেটর) মেশিন দিয়ে ক্যানেল সংলগ্ন অ্যাকোয়ারভুক্ত জমির মাটি কেটে সেই মাটি ডাইকে (বাঁধে) তুলে দিয়েছে। এ ছাড়া কমপ্যাকশন ছাড়াই দুই ডাইকের মাটিতে পলিথিন না দিয়ে ময়লাযুক্ত পাঁচমিশালি সিঙ্গেজ পাথর, ধুলার ন্যায় বালু ও কম সিমেন্টে যেনতেনভাবে সিসি ঢালাই করছে।
ওই ক্যানেল-সংলগ্ন উত্তর দুরাকুটি গ্রামের মাস্টারপাড়ার দুলাল হোসেন, বসুনিয়াপাড়ার আব্দুস ছালাম ও ফকিরপাড়ার আব্দুল আজিজ জানান, একেবারে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। এতে ২/৩ বছরে ডাইক ধসে সেচ কর্যক্রম ব্যাহত হবে।
এ ব্যাপারে ঠিাকাদার আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে কল দিলে তার ম্যানেজার কৌশিক দত্ত ফোন রিসিভ করে জানান, কাজে অনিয়মের সত্যতা নেই। এলাকার ইউপি সদস্য এবং এসও উপস্থিত থাকেন। অ্যাকোয়ারের জমির মাটি কেটে ডাইকে (বাঁধে) দেওয়া হয়নি। তাহলে ভেকু দিয়ে কারা ওই ক্যানেল সংলগ্ন জমির মাটি কেটেছে এর কোনো সদুত্তর দেননি।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান জানান, ডাইকের মাটি কমপ্যাকশন না করা ও যেনতেনভাবে সিসি ঢালাইয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
সংশ্লিষ্ট কাজের এসও মিজানুর রহমান জানান, ৪ দশমিক ৬০৫ কিলোমিটার ক্যানেলের ডাইকে পলিথিন ছাড়াই ৩ ইঞ্চি ঢালাই দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে নিম্নমানের পাথর ও ধুলার ন্যায় বালুর ব্যবহার বন্ধ করা হবে।
"