শাহ এসএস ফরিদ, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জ
জগন্নাথপুরে জমে উঠেছে শীতের পোশাক বেচাকেনা
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যা হলেই নামে শীত। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকে চারপাশ। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না। এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শীতার্ত মানুষগুলো একটু উষ্ণতার জন্য ছুটছেন পোশাকের দোকানে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে জমজমাট শীতের পোশাক বেচাকেনা হচ্ছে।
বিশেষ করে শীতের এই মৌসুমে নিম্নবিত্ত ও স্বল্প আয়ের পরিবারের মানুষেরা শীতবস্ত্র কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় করতে দেখা গেছে। শীতের জ্যাকেট, সুয়েটার, চাদর, মাফলার ইত্যাদি পোশাক বিক্রি হচ্ছে। বড়দের পাশাপাশি শিশুদের শীতের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
জগন্নাথপুর বাজারের শীতের পোশাক বিক্রেতা আব্দুল মুমিন বলেন, শীত শুরু হয়েছে, আগের চেয়ে গতকাল থেকে শীতের পোশাক বেশি বিক্রি করছি। আমার দোকানে কমদামি পোশাক রয়েছে। বেশির ভাগ গরিব কাস্টমার আসেন।
ফুটপাতের ব্যবসায়ী জিলু মিয়া বলেন, শীত এসেছে, বিক্রিও বেড়েছে। শিশুদের শীতের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। আমাদের দোকানে বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষ আসেন। ধনী কাস্টমার বড় দোকানে দামি পোশাক কিনবেন।
রানীগঞ্জ বাজারের মিলান ফ্যাশনের মালিক আব্দুস সামাদ বলেন, দেশি-বিদেশি শীতের পোশাক দোকানে রয়েছে। শিশুদের শীতের পোশাক বিক্রি বেশি হয়।
শীতের পোশাকের ক্রেতা নোয়াগাঁও গ্রামের ইমরুল মিয়া বলেন, শীতের পোশাক কিনতে এসেছি। একটু কোয়ালিটির পোশাক হলেই দাম বেশি। সাদ্য অনুযায়ী শীতের পোশাক একমাত্র ফুটপাতের দোকানগুলোতে পাওয়া যায়।
বাগময়না গ্রামের ক্রেতা মাসুম আহমদ বলেন, ঠান্ডা বেশি লাগে। পোরানো কাপড়ে এবার শীত কাটবে না। একটি জ্যাকেট কিনেছি, গত বছরের চেয়ে দাম বেশি।
এদিকে শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে জগন্নাথপুর উপজেলার আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শীতের এই মৌসুমে সামাজিক সংগঠন ও প্রবাসীদের উদ্যোগে দরিদ্র মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা গেছে।
"