যিনি সার্জন, তিনিই অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক। এমন হাসপাতালে সিজার করে মাকে বাঁচানো গেলেও মৃত্যু হয়েছে নবজাতকের। গতকাল সকালে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ নারায়নপুর পূর্ব বাজারে ‘নারায়নপুর জেনারেল হাসপাতাল (প্রা.) অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলার খিদিরপুর গ্রামের রোস্তম মোল্লা বাড়ির অটোরিকশাচালক মো. রাসেলের স্ত্রী লিমার (১৯) প্রসব বেদনা হলে নিয়ে আসে এই হাসপাতালে। প্রথমে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। পেটের বাচ্চা জীবিত বলে স্বাভাবিক প্রসব (নরমাল ডেলিভারি) করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে বলা হয় বাচ্চা পেটেই মৃত। অভিভাবকের স্বাক্ষর জাল করে ডিগ্রি ছাড়া বিল্লাল শেখ নামে কথিত এক ডাক্তারকে দিয়ে সিজার করার পর পাওয়া যায় মৃত বাচ্চা।

গৃহবধূ লিমার শাশুড়ি ফাতেমা বেগম বলেন, আমার ছেলের এই প্রথম বাচ্চা। লিমার নিয়মিত চেকআপ করা হয়। হঠাৎ গত রাতে প্রসব ব্যথা হওয়ার পর যোগাযোগ করলে হাসপাতালের নার্স শেফালি বেগম প্রথমে বাড়িতে গিয়ে ডেলিভারি করার চেষ্টা করে। না পেরে এরপর সে আমাদের এই হাসপাতালে নিয়ে আসে। মো. রাসেল বলেন, হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার কারণেই অপচিকিৎসার শিকার হয়েছি।

নারায়ণপুর জেনারেল হাসপাতাল (প্রা.) অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আল-আমিন কোনো তথ্য দিতে পারেননি এবং হাসপাতালে ওই চিকিৎসকের কোনো তথ্য সংরক্ষণ নেই। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা মোস্তফা ইমন চৌধুরী বলেন, ভোরে এই রোগী নিয়ে আসার পর আমি নিজেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু যিনি এসে সিজার করেছেন তাকে এর আগে কোনো দিন দেখিনি। হাসপাতালের এমডি তাকে ফোনে ডেকে এনেছেন।

মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মহিব উল্লাহ সৌরভ বলেন, ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"