এএফএম মমতাজুর রহমান, আদমদীঘি (বগুড়া)
২১ বছর বন্ধ সান্তাহার রেলওয়ে মাতৃসদন শিশু মঙ্গলকেন্দ্র
বগুড়ার সান্তাহার একটি ঐতিহ্যবাহী প্রথম শ্রেণির জংশন শহর। এ শহরে প্রায় ৫০ হাজার বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবী লোক বসবাস করে। এ জংশন স্টেশনে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, প্ল্যাটফর্ম উচ্চকরণ, মসজিদ নির্মাণ, গণশৌচার নির্মাণসহ অনেক উন্নয়ন কাজ হলেও ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ও প্রতিষ্ঠিত একটি রেলওয়ে মাতৃসদন ও শিশু মঙ্গলকেন্দ্রে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। এটি প্রায় ২১ বছর ধরে বন্ধ আছে। ফলে প্রসূতি মা ও শিশুরা চিকিৎসা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ব্রিটিশ আমলে নির্মিত রেলওয়ে হাসপাতালের পাশে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর আদমদীঘি উপজেল স্বাস্থ্য বিভাগের একটি কমিউনিটি সেন্টার কাজ করে বর্তমানে এখানে। যদিও এই ভবনটিতে নেই পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা।
সান্তাহার জংশন স্টেশন ও সান্তাহার রেলওয়ে হাসাপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ও প্রতিষ্ঠিত সান্তাহার রেলওয়ে মাতৃসদন ও শিশু মঙ্গলকেন্দ্রটি প্রায় ২১ বছর ধরে বন্ধ আছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ফলে ভবনটিতে পানি ও বিদ্যুত নেই এবং অচল হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সম্প্রতি ওই ভবনটিতে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে অনুমিতি সাপেক্ষে কমিউনিটি সেন্টারের কার্যক্রম চলছে।
সান্তাহার রেলওয়ে হাসপাতাল সূত্র মতে, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই ভবনটিতে রেলওয়ে মাতৃসদন ও শিশু মঙ্গলকেন্দ্র হিসেবে কাজ করত। এই সেন্টারে মহিলা চিকিৎসক ও সার্জন, হেলথ ভিজিটর ও মিড ওয়াইফ পদবিতে ৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করতেন। প্রতিদিন শতাধিক প্রসূতি মা ও শিশু এখানে চিকিৎসা সেবা পেত। ১৯৯০ সালে জনবল সংকটের কারণে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। সেই থেকে আজ অবধি বন্ধ আছে। সম্প্রতি আদমদীঘি স্বাস্থ্য বিভাগ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে একটি কমিউনিটি সেন্টার কার্যক্রম চালাচ্ছে। যদিও ভবনটিতে পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। তবে রেল কর্তৃপক্ষ বলছে এই ভবনের কার্যক্রম আবার শুরু হবে।
সান্তাহার রেলওয়ে হাসপাতালের ড্রেসারার ও সেনেটারি ইনস্পেক্টর (অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা) আব্দুল মান্নান জানান, অচিরেই বন্ধ থাকা সান্তাহার রেলওয়ে মাতৃসনদ ও শিশু মঙ্গলকেন্দ্রটি চালু হবে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ২০২০ সালের জনবল কাঠমো নিয়োগ হিসেবে উক্ত সেন্টারের কার্যক্রম চালু হবে।
"