উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

উল্লাপাড়া

৯ মাসে এক ইউনিয়নে ৫৮ দাম্পত্য বিচ্ছেদ

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় চলতি সালের নয় মাসে সলঙ্গা ইউনিয়নে ৫৮টি দাম্পত্য বিচ্ছেদ হয়েছে। কাজী অফিসের নিকাহ রেজিষ্ট্রার এর মাধ্যমে এসব দাম্পত্য বিচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন বয়সের ৪০ জন নারী নিজ থেকে স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের অবসান করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদে দাম্পত্য বিচ্ছেদের কাগজ এসেছে ও পরিষদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪ সালের আগষ্ট মাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ১৪টি দাম্পত্য বিচ্ছেদ ঘটনা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন নারী নিজ থেকে স্বামীর সাথে দাম্পত্য বিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন। একই সালের মার্চ মাসে ৫টি, এপ্রিলে ৬টি, মে মাসে ৪টি , জুনে ৬ টি, জুলাইে ৫টি , সেপ্টেম্বরে ১০টি , অক্টোবরে ৫টি ও নভেম্বর মাসে ৩টি দাম্পত্য বিচ্ছেদ হয়েছে। তথ্যে আরো জানা গেছে মার্চ মাসে ৪ জন নারী , এপ্রিলে ৪ জন নারী, মে মাসে ১ জন নারী, জুনে ৩ জন নারী, জুলাই মাসে ৪ জন নারী, সেপ্টেম্বরে ৮ জন নারী, অক্টোবরে ৫ জন নারী ও নভেম্বরে ২ জন নারী নিজ থেকে দাম্পত্য বিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন। সবশেষ কাজী অফিসের নিকাহ রেজিষ্ট্রার থেকে ডিসেম্বর মাসে দাম্পত্য বিচ্ছেদের একটি নোটিশ সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে এসেছে বলে জানানো হয়। একই গ্রামের সুমন ইসলাম ও স্বর্ণা খাতুন ধুবিল নিকাহ রেজিষ্ট্রার এর মাধ্যমে তাদের দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন। সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে দাম্পত্য বিচ্ছেদের নোটিশ আসা নারী কিংবা পুরুষের কেউ কেউ ইউনিয়ন এলাকার বাইরের বসতি বলে জানা গেছে।

সলঙ্গা ইউনিয়নে কাজীর দায়িত্ব পালন করা ও মাদরাসা শিক্ষক আ. রহমান বলেন, সামাজিক অবক্ষয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে। তিনি দাম্পত্য বিচ্ছেদ না করতে নারী ও পুরুষ দুই পক্ষকেই বুঝিয়ে থাকেন। এরপরেও যদি কেউ বিচ্ছেদ করতে চান তখন আর কিছুই বলার থাকে না।

সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাসুদেব ঘোষ প্রতিবেদককে বলেন, এই ইউনিয়ন এলাকায় দাম্পত্য বিচ্ছেদ তার ধারণায় অনেক বেশি। পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি নিজ থেকে দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটাচ্ছেন। তিনি মনে করেন সামাজিক অবক্ষয়, পরকীয়া আর বয়সের তুলনায় বেশি বয়সী ছেলের (পুরুষ) সাথে কম মেয়ের (নারী) বিয়েতে দাম্পত্য বিচ্ছেদ ঘটছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close