বগুড়ার আদমদীঘিতে সীমানা নিয়ে বিরোধে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অনুমতি ছাড়াই গ্রামীণ জনপদের রাস্তার ইট তুলে নিয়ে জায়গা দখল নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম সিংড়া গ্রামের আতাউর রহমান বাবুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। সরকারি রাস্তার প্রায় ২০০ ফুট অংশের ইট তুলে ফেলায় বিপাকে পড়েছেন ওই পথে চলাচল লোকজন।

উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির পশ্চিম সিংড়া পূর্বপাড়া এলাকায় ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার সকালে ইউপি পরিষদের গ্রাম্য আদালতের রায় ছাড়াই রাস্তার ইট তুলে ফেলেন আতাউর রহমান বাবুসহ তার পরিবারের লোকজন। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা পথচারীরা। এ ঘটনায় স্থায়ী সমাধানের জন্য গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন আবুল কাশেম।

জানা যায়, উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির পশ্চিম সিংড়া পূর্বপাড়া পলাশ মাস্টারের বাড়ি থেকে মকবুলের বাড়ি পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচলের জন্য গ্রামীণ রাস্তা করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মাধ্যমে উন্নয়ন সহায়তা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮ লাখ টাকার বরাদ্দে এই এসবিবি রাস্তাটি করা হয়। কয়েকমাস আগে এই রাস্তার জায়গার সীমানা নিয়ে আবুল কাশেমের সঙ্গে একই গ্রামের আতাউর রহমান বাবুর বিবাধ চলছিল। এ বিষয়ে চার মাস আগে ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দেন আবুল কাশেম।

এদিকে তিন মাস আগে জায়গাটি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা সীমানা জরিপ করে দেন। জরিপে জায়গাটি পান আবুল কাশেম। এসময় জরিপে জায়গায় না পাওয়ায় ওই জরিপ পেপারে স্বাক্ষর না দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন আতাউর রহমান বাবু ও তার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনার পরেও মাঝে মধ্যে তাদের ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। গত মঙ্গলবার সকালে রাস্তার ইট তুলে ফেলেন আতাউর রহমান বাবুসহ তার পরিবারের লোকজন।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে আতাউর রহমান বাবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কারো সাড়া পাওয়া যায়নি।

অভিযোগকারী আবুল কাশেম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সীমানা  নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের ঝামেলা চলছিলো। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমিন দিয়ে মাপজোখের পরও তারা বিষয়টি মানেনি, পরে নিজের ক্ষমতা ঘাটিয়ে রাস্তার ইট তুলে ফেলেন। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য ইউএনও বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুদরত-এ-ইলাহী বলেন, ‘ইউপি পরিষদ থেকে আতাউর রহমান বাবুকে কোনো রায় দেওয়া হয়নি। তারা কাউকে না জানিয়ে রাস্তার ইট তুলে ফেলেছেন। বিষয়টি নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।’

ইউএনও রুমানা আফরোজ জানান, ‘রাস্তার ইট তুলে নেওয়ার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে একটা পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

"