শরীফ হোসাইন, ভোলা

  ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

ভোলা

দেড় যুগেও সংস্কার হয়নি গাজীরচর ও হাজিরহাট সেতু

ভোলায় দেড় যুগেও সংস্কার হয়নি পাতা ভেদুরিয়া এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গাজীরচর-হাজিরহাট সেতু। বর্তমানে ওই সেতু দিয়ে চলাচল অনেকটা অনুপযোগী। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বাধ্য হয়ে ওই এলাকার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ লোকজনকে চলাচল করতে হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের পাতা ভেদুরিয়া এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এই খালটির ওপর প্রায় দেড় যুগ আগে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণের ৫-৬ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর থেকেই সেতুর নিচের একটি স্পেন দেবে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ সেতুটি নির্মাণের সময় অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। তাই সেতুর বেশ কিছু অংশও দেবে গিয়ে নিচের দিকে বসে গেছে। এছাড়া সেতুর পাশের বাউন্ডারিগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে। এতে সেতুটির অর্থেক থেকে বাকি অংশ প্রায় অরক্ষিত। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা মাথায় রেখেই ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে এখানকার মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দা আলতাফ হোসেন জানান, সেতুটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। একই গ্রামের সাহেব আলী বলেন, ২-৩ ইউনিয়নের প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার লোক এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সেতুটির এমন অবস্থা হওয়ায় এলাকার কোনো লোক অসুস্থ হলে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। সেতু পার হয়ে এপারে এসে তারপর অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে হয়। যা এই এলাকার মানুষের জন্য অনেক কষ্টকর। তাছাড়া এই সেতু দিয়ে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিশুরা চলাচল করে। তারাও ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করে। তাদের পররিবার সবসময় চিন্তাগ্রস্ত থাকে। কখন কি ঘটে যায়। অরক্ষিত ও চলাচল অনুপযোগী সেতুটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো মাথাব্যথা নেই। কয়েক বছর যাবৎ শুনি সেতুটি মেরামত করা হবে। কিন্তু মেরামত কবে হবে তা কেউই বলতে পারে না।

এলজিইডি ভোলা অফিস সূত্রে জানা যায়, এ সেতুটি ২০০৪ অর্থ বছরে আবাসন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছিল। পরবর্তীতে একটি স্পেন দেবে যাওয়ায় তা রক্ষণা-বেক্ষণের জন্য এলজিইডি রক্ষণা-বেক্ষণ প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে অনুমোদন না হওয়ায় সেতুটি সংস্কার করা যাচ্ছে না। দ্রুত অনুমোদন পেলে সেতুটি সংস্কারের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করা হবে এমনটাই জানিয়েছেন তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close