জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের গার্মেন্টসকর্মী মিনহাজুল ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গাজীপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। পরে গাজীপুর থেকে তার মরদেহ এনে ময়না তদন্ত ছাড়াই আক্কেলপুরের সোনামুখী ইউনিয়নের উত্তর রামশালা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় গাজীপুরের গাছা থানায় মামলা হওয়ায় আদালতের নির্দেশে ১৩৪ দিন পর মরদেহটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

নিহত মিনহাজুল উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের উত্তর রামশালা গ্রামের আবু বক্করের ছেলে। তিনি গাজীপুরের বড়বাড়ি এলাকায় তার খালু শাহ্ পরাণের সঙ্গে থাকতেন এবং নিউ কোমান্স পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

জানা গেছে, গত ২০ জুলাই গাজীপুরের জয়বাংলা রোড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মিনহাজুল। তার নিহতের ঘটনায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের গাছা থানায় চাচা আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৯৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন চিফ জুডিশিয়াল আদালত গত ১ অক্টোবর মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করতে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ দেন। ওই আদেশে গতকাল রবিবার বেলা ১১টার দিকে উত্তর রামশালা গ্রামের মিনহাজুলের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল-মাহবুব, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. শাহ্ আলম শোভন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুরের গাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন খান, আক্কেলপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল ইসলাম।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুরের গাছা থানার উপ-পরিদর্শক সুমন খান বলেন, এ ঘটনায় মিনহাজুলের চাচা বাদী হয়ে মামলা করলে ময়না তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে তার মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। ময়না তদন্ত শেষে আবারও মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল-মাহবুব বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং চিকিৎসকের উপস্থিতিতে ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে মিনহাজুলের মরদেহ উত্তোলন করে তা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

"