পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
খুলনার পাইকগাছা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হত্যা মামলা জানেন না বাদী ও সাক্ষী
খুলনার পাইকগাছায় বাদী ও সাক্ষীরা মামলা বিষয়ে জানেন না। অথচ কলেজছাত্র রকিবুল হাসানকে (২২) হত্যা দেখিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ৩১৫ জনের নামে হত্যা মামলার অভিযোগ হয়েছে।
জানা যায়, খুলনার পাইকগাছায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রকিবুল হাসান নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে সে আনন্দ মিছিল করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে যায়। এ সময় কাঁচা বাঁশ হওয়ায় তা বিদ্যুতায়িত হয়ে সে আহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার তার মৃত্যু ঘোষণা করেন। ঘটনাটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা দেখিয়ে ২১ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হত্যা মামলা দাখিল করা হয়। যাতে আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাত ভাই সাবেক এমপি শেখ হেলাল, শেখ সালাউদ্দীন জুয়েল, কামাল হোসেন, আব্দুস সালাম মুর্শেদী, আকাতারুজ্জামান বাবু, খুলনার সাবেক সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, প্যানেল মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু, সিনিয়র সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মুন্সী মাহাবুব আলম সোহাগসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ১৫ সিনিয়র সাংবাদিকসহ ৩১৫ জনকে।
আলোচিত এ মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি একজন চা বিক্রেতা। তাছাড়া তার একটা চোখ নষ্ট। তিনি বলেন, আমি মিথ্যা বলতে পারব না। একটি চক্র আমাকে ব্ল্যাক মেইল করে আমার স্বাক্ষর জাল করে অসৎ উদ্দেশ্যে এ মামলা করছে। কিছুদিন আগে পাইকগাছার গদাইপুর ও খুলনা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করে ৪ ব্যক্তি আমাদের বাড়িতে আসে। তারা মুগ্ধর ছোট ভাইয়ের পরিচয়ে সান্ত¦না দিয়ে বলেন, ‘রকিবুল খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিল। তার মত্যুতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করা হবে।’ এসব কথা বলে তারা আমার ও স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ডের অপর পৃষ্ঠায় স্বাক্ষর নিয়ে চলে যায়। আমার ধারণা তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
রকিবুলের মা রেবেকা বেগম বলেন, আমার একমাত্র শহীদ সন্তানকে নিয়ে কাউকে বাণিজ্য করতে দেওয়া হবে না। সাক্ষী আল মামুন বলেন, আমি জানি না এ মামলায় কীভাবে সাক্ষী হয়েছি। নিহত ছাত্রের বাবা রফিকুল ইসলাম গাজী নোটারী পাবলিকের হলফ নামায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা সম্পর্কে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।
"