গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গোবিন্দগঞ্জ
মসজিদ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে লাঠি ও ধারালো ছুরির আঘাতে শাহিদুল প্রধান (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরো ৭ জন। তাদের মধ্যে ৪ জনকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের মালাধর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিদুল প্রধান ফুলবাড়ি ইউনিয়নের মালাধর গ্রামের হাসিম প্রধানের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে। আটকরা হলেন- আব্দুর গফুর (৩৮), শাকিল আহমেদ (২৭) ও শাফিউল সোহাগ (৩০)। তাদের সবার বাড়ি মালাধর গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সাতগ্রাম নিয়ে মালাধর জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। সম্প্রতি মসজিদের কমিটি গঠন নিয়ে উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়ার মুসল্লিদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে শুক্রবার নামাজ পর কমিটি গঠন নিয়ে দুপক্ষের মুসল্লিরা কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের লাঠির ও ধারালো ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হন শাহিদুল। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরো ৪ জন। তাদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শাহিদুলের স্বজনদের অভিযোগ, তিনি একজন দিনমজুর। সাধারণ মুসল্লির মতো মসজিদে নামাজ আদায় করেন তিনি। কমিটি নিয়ে দ্বন্দ¦ কিংবা কোনো পক্ষই তিনি ছিলেন না। কিন্তু তার ওপরে হামলা করে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হলো। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানান স্বজনরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। শাহিদুলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।
"