উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া
প্রতিবন্ধী দুই নারীকে হুইল চেয়ার দিলেন ইউটিউবার
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সফল ইউটিউবার চিত্রপুরী কৃষিচিত্র এর রফিকুল ইসলাম মানিক (র ই মানিক) এর কাছ থেকে অসহায় শারিরীক প্রতিবন্ধী দুজন নারী পেলেন হুইল চেয়ার। এর মধ্যে চলাচলে একটি হুইল চেয়ার না থাকায় একজন নারী বেলাতন নেছা প্রায় দশ বছর নিজ বসত ঘরেই থাকতেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, উল্লাপাড়া পৌরসভার পশ্চিমপাড়া মহল্লার রফিকুল ইসলাম মানিক (র ই মানিক) এর নিজ বাসভবন থেকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গরীব অসহায় পরিবারের দুজন নারীকে হুইল চেয়ার দেওয়া হয়। হুইল চেয়ার পাওয়া নারী দুইজন হলেন সদর উল্লাপাড়া ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামের প্রায় ৬৫ বছর বয়সী বেলাতন নেছা ও রায় দৌলতপুর গ্রামের প্রায় একই বয়সী রহিমা খাতুন। একই সময়ে আয়মান বেওয়া ও রত্না খাতুনকে মাসিক সহযোগিতার নগদ টাকা দেওয়া হয়।
সরেজমিনে জানা গেছে, সদর উল্লাপাড়া ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামের বিধবা বেলাতন নেছা এলাকার একটি ধান কলে কাজ করতেন। প্রায় দশ বছর আগে পা পিছলে পড়ে গিয়ে পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। গরীব পরিবারের বেলাতন নেছার ভাঙ্গা পা সারিয়ে তুলতে চিকিৎসা করা হলেও এক সময় টাকার অভাবে আর চিকিৎসা করা যায়নি। তার ভাঙ্গা পা আর ভালো বলতে জোড়া লাগেনি। সে থেকেই নিজ বসতঘরে থেকেই দিন রাত পার করে আসছেন।
প্রতিবেদককে হুইল চেয়ার পাওয়া বেলাতন নেছা ও সঙ্গে আসা মেয়ে দুজন জানান, এখন থেকে হুইল চেয়ারে বসে তাদের সহযোগিতা বয়সী মা বাড়ির ওঠোন আঙ্গিনায় চলাফেরা করতে পারবেন। একেবারে বিনামূল্যে হুইল চেয়ার পেয়ে নারী দুজন ও তাদের সঙ্গে থাকা পরিবারের লোকজন খুবই খুশি হয়েছেন। এদের হাতে দুই হাজার করে নগদ টাকা দেওয়া হয়।
একই সময়ে উপজেলার হাওড়া গ্রামের গরীব অসহায় আয়জান বেওয়াকে সংসার খরচায় প্রতি মাসের জন্য সহযোগিতার দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়। আমেরিকা থেকে একজন তাকে প্রতিমাসে এ টাকা দেন। এ ছাড়া আমডাঙ্গা অলিপুর গ্রামের বিধবা রত্না খাতুনকে মাসিক সহযোগিতার তিন হাজার টাকা দেওয়া হয়। কানাডা থেকে এক দষ্পতি মাসের এ টাকা দেন। জানা গেছে, রত্না খাতুনের স্বামী আশরাফুল ইসলাম এক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। গরীব অসহায় পরিবারের চার সন্তানের মা রত্না খাতুনের সব জেনে র ই মানিক বসত ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন।
প্রতিবেদককে ইউটিউবার র ই মানিক বলেন, সমাজের গরীব অসহায় পরিবারগুলোর জন্য সহযোগিতা করতে পারায় তিনি মনের দিক থেকে শান্তি পান। আর তাই গরীব বিভিন্ন জনের কর্মের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
"