মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি
মনোহরদী
ছাত্রী আনিকা হত্যার বিচারের দাবি
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের ছাত্রী সামিয়া আলম আনিকার হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা। এ ঘটনায় আনিকার বাবা শাহাজাদা নূর আলম গত ৫ নভেম্বর মামলা করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে তারা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। গত ৪ নভেম্বর দুপুরে মনোহরদী পৌর শহরের সরকারী কলেজ সংলগ্ন আব্দুস সাত্তার মাস্টারের বাসায় হত্যাকাণ্ড ঘটে।
জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনিকার খালোতো বোন অর্পার সঙ্গে পরিচয় হয় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সৌদি
প্রবাসী শাহরিয়ার শাহজাহান ফারদিনের। অর্পাকে তার সঙ্গে
বিয়ে দেওয়ার জন্য অনেকদিন ধরে মুঠোফোনে তার মাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু মেয়ের মা পাপিয়া আক্তার বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না। গত ৪ নভেম্বর কুলাউড়া থেকে মনোহরদী অর্পার বাসায় আসে শাহরিয়ার। ওই সময় অর্পা বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং ক্লাস করতে নরসিংদী ছিলেন। বাসায় ছিলেন অর্পার মা পাপিয়া এবং খালাতো বোন সামিয়া
আলম আনিকা। দুপুরে রান্না করে ফারদিনকে খাওয়া-দাওয়া করানো হয়। পরে বিশ্রাম শেষে পৌনে ৪টার দিকে অর্পাকে বিয়ে দেওয়ার
বিষয়ে মায়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ফারদিনের। এক পর্যায়ে ফারদিনের ব্যাগে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে মা পাপিয়াকে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। তার চিৎকার শুনে পাশের কক্ষে থাকা আনিকা
খালাকে বাঁচাতে এলে তাকেও উপর্যুপরি কোপানো হয়। গলা কেটে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই আনিকার মৃত্যু হয়। পরে পাপিয়া চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় হত্যাকারী ফারদিন পালিয়ে যায়।
এদিকে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত আনিকার মা সাবিকুন নাহার ডেইজি, বিদ্যালয়ের তত্বাবধায়ক মো. হামিদুল হক, শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, শিক্ষার্থী মো. আতিকুর রহমান, মোসা. ফাতেমা আক্তার। এ সময় প্রায় দুই শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
আনিকার মা বলেন, ‘আনিকাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এখনো আমরা বিচারের কোনো অগ্রগতি দেখছি না। এই হত্যার সঙ্গে জড়িত শাহরিয়ারের শাস্তির দাবি জানাই।’
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে গতকাল দুপুরে মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল হোসেন বলেন, দ্রুত মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
"