সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সমেশপুর হাটের দ্বিতলা ভবনের নির্মাণের সময়সীমা সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি কাজ। দরপত্র অনুযায়ী ভবনের ছাদের ঢালাইয়ে শাটারের স্টিলের সিট এবং পাইপ ব্যবহারের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু এর বদলে বাঁশ ও কাঠের তক্তা ব্যবহার করায় কাজে মান খারাপ হচ্ছে। শিডিউল অনুযায়ি কাজ করা জন্য ঠিকাদারকে দুবার চিঠি দেওয়া হলেও নিয়ম মানছেন না ঠিকাদার।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঠিকাদার মীর সেরাজুল আওয়ামী লীগের নেতা। সেই প্রভাবখাটিয়ে এখনও জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয়ের সঙ্গে যোগসাজসে যেনতেনভাবে কাজটি শেষ করতে চাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডির) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে হাটভবন নির্মাণ হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে বেলকুচি উপজেলার সমেশপুর বাজারে দুই তালা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দে ২০২৩ সালের মে মাসে মেসার্স লিটন এন্টারপ্রাইজ চুক্তিবদ্ধ হয়। এতে বিভিন্ন প্রকারের ব্যয়ের মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ টাকার স্টিল সাটার ও লোহার পাইপের ব্যবহার ধরা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার ইচ্ছামতো বাঁশ ও কাঠের তক্তা ব্যবহার করে যাচ্ছে।

এদিকে ২০২৪ সালের এপ্রিলে শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ২৫-৩০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। ভবনটিতে প্রথম তলার ঢালাই করার জন্য কাঠ ও বাশ দিয়ে ফ্রেম করা হয়েছে। কাজের মান ও কাজের বিবরণীতে স্টিল সাটার ও লোহার পাইপের ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করে ঠিকারদার প্রতিষ্ঠানকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। প্রকৌশল অফিস থেকে বার বার তাগাদা দিলেও তিনি কাজ করে যাচ্ছে তিনি।

বেলকুচি উপজেলা প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘আমরা গত মাসে (অক্টোবর) ডিজাইন মোতাবেক ও মানসম্মত সামগ্রী ব্যবহারের জন্য দুই দফা চিঠি দিয়েছি ঠিকাদারকে। এই কাজের ক্ষেত্রে স্টিল ও লোহার পাইপের বদলে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে ঢালাই দিলে এই ধরনের বড় মানের ভবনের জন্য ক্ষতি সাধন করতে পারে। এভাবে নির্মাণ হলে ভবনের স্থায়িত্বকাল কমে যাবে।’

আওয়ামী লীগ নেতা মীর সেরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাঁশ সাঁটারে ব্যবহার করলে কি সমস্যা? স্টিল সাঁটার ব্যবহার করব কি না, আমার ব্যাপার।’ তবে কাজে ধীরগতির বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারকে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে, সাত দিনের মধ্যে বাস ও কাঠের সাটারিং খুলে ফেলার কথা বলা হয়েছে।’

"