ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরব
ইটভাটার মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪০
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইটভাটার মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই ওয়ার্ড নেতার মধ্যে সংঘর্ষে ৪০ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া সবেদ আলী ঘাট এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
‘কাউয়া বাড়ি’ ও ‘বাঘা বাড়ি’র মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ভৈরব থানা-পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত ওসির দায়িত্বে থাকা তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন।
জানা গেছে, কালিকাপ্রসাদ দক্ষিণপাড়া সবেদ আলী ঘাট এলাকায় কামাল মিয়ার ইটের ভাটার জন্য বশির মিয়ার জমি থেকে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে ইটভাটা মালিকের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কালিকাপ্রসাদ ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সহ-সভাপতি ও কাউয়া বাড়ির নবী হোসেন। আরেক পক্ষের নেতৃত্ব দেন ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সাধারণ সম্পাদক বাঘা বাড়ির মো. মোস্তফা।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম, রাজন মিয়া, লিটন মিয়া, উসমান মিয়া, কামাল মিয়া, জামান মিয়া, সোহরাফ হোসেন, সুজন মিয়া, সাত্তার মিয়া ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া রহমত আলী, মনির মিলন, রুস্তম, ওমর ফারুক, হামিদ মিয়াসহ অনেকে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
যুবদল নেতা মোস্তফা মিয়া বলেন, কামাল আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে আমাদের বাপ, দাদা ও চাচাদের জমি দখল করে দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটা চালাচ্ছেন। বাধা দেওয়ায় আমার ওপর চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মানহানির চেষ্টা করেন কামাল মিয়া। আমি কামাল মিয়াকে জিজ্ঞাসা করতে গেলেই কিছু দুষ্কৃতকারীকে নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। পরে বিষয়টি সংঘর্ষে রুপ নেয়।’
জানতে চাইলে বিএনপির নেতা নবী হোসেন বলেন, ই‘টভাটায় আমাদের বংশের অনেকের কয়েক কোটি টাকা পুঁজি দেওয়া আছে। ইটভাটা বন্ধ হলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা ইটভাটার পক্ষে কথা বলায় আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিছে।’
এদিকে ইটভাটা মালিক কামাল বলেন, ‘মোস্তফা ও লোকমানসহ কয়েকজন বিএনপির নেতা আমার ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা যেন ইটভাটায় সম্পৃক্ততা না থাকে, তার জন্য হুঁশিয়ারি দেন। সেই সঙ্গে মাটি কাটলেই তাদের চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি-ধমকি দেয়। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আমার উপর হামলা করে।’
জানতে চাইলে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মো. শাহীন বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
"