ইমাম হোসেন হিমেল, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
কলাপাড়া
লক্ষ্যমাত্রা ছুঁইছুঁই আমন চাষ অধিক ফলনে খুশি কৃষক
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আমন ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও বাম্পার (অধিক) ফলনেও খুশি চাষিরা। আগাম তরমুজ চাষের জন্য অনেক কৃষক তাদের জমিতে আমন ধান রোপণ করেনি বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কার্যালয়।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এবার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে ৩০ হাজার ৭৯৮ হেক্টর? সামান্য হেক্টর বাকি থাকলেও তা বাম্পার ফলনে পুষিয়ে যাবে বলে মনে করেন কর্মকর্তারা।
কলাপাড়া উপজেলাটি প্রধানত উপকূলীয় এলাকা। যেখানে লবণাক্ততা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষিকাজ অনেক
সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে। তবে এবছর বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পরিমাণ ভালো থাকার কারণে এবং কৃষি উপকরণ সরবরাহের
কারণে আমনের ফলন আশানুরূপ হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়
কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, ‘এবারে আমন ধানের ক্ষেতে তাকালে মনটা জুড়িয়ে যায়। এত সুন্দর ধানের শীষ। পুষ্টিও আছে ধানে। এবারের আবহাওয়া ছিলো পুরোপুরি অনুকূলে। তবে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও বাম্পার ফলন হয়েছে।’
নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুরের কৃষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘এবার যে পরিমাণ ফলন হয়েছে, তা গত কয়েক বছরের চেয়ে
অনেক বেশি। এই বাম্পার ফলন আমাদের জীবনমানের উন্নতি
ঘটাবে এবং পরবর্তী মৌসুমে আরো বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে চাষাবাদ করতে পারবো।’
কৃষক মমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমনের দাম ভালো আছে। এখন মণ ১ হাজার ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারি। সামনে দাম এমন থাকলে লাভের আশা করি। এবারে যতটুকু ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিলো তা হয়নি, এমন ফলন দেখে সত্যিই আমি অভিভূত। ফসল ভালো হওয়ার ফলে, আমরাই সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবো।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বলেন, ‘এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। আমরা সময়মতো সঠিক পরামর্শ ও সহায়তা দিয়েছি। নতুন প্রযুক্তি এবং উন্নত জাতের বীজ ব্যবহারের ফলে এবার আমনের ফলন অনেক বেশি হয়েছে।’
"