এম এ লিতু, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)
কালীগঞ্জ
কলেজে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠ আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের মূল ভবনে ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পাঠদানসহ অভ্যন্তরীণ ও বোর্ড পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভবনটির প্রায় সব কক্ষে বের হয়ে আছে বিমের রড, খসে পড়ছে পলেস্তারা। পাঠদান কিংবা পরীক্ষা চলাকালীন যেকোনো সময় ভবন ভেঙে পড়ার আতঙ্কে আছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে কলেজটিতে দেখা গেছে, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতল ভবন বর্তমানে জরাজীর্ন অবস্থায় থাকলেও নেওয়া হয়নি নতুন ভবন করার উদ্যোগ বা করা হয়নি সংষ্কার। কলেজটির সাতটি ভবনের মধ্যে ৫টি দ্বিতল ভবন। যার মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর জন্য তিনটি ভবন সচল রাখা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৮ আগষ্ট কলেজটি সরকারীকরন করা হয়। বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রি ও অনার্স কোর্সে মিলে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছে। কলেজটিতে ১০০ জনের মত শিক্ষক ও কর্মচারী আছেন। উপজেলার সব চেয়ে বড় বিদ্যাপিঠ এমন জরাজীর্ন অবস্থায় থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
কলেজটির উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী প্রত্যায় খান শিজু জানান, মূল ভবনে আমাদের ক্লাস হয়। কিন্তু ভবনটির যে অবস্থা এতে পাঠদান করতে ভয় লাগে। শিগগির এই ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম এবং পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া উচিত। পাশাপাশি কলেজটিতে সুন্দর একটি বহুতল ভবন নির্মাণের দাবি তার।
সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আকতারুল ইসলাম জানান, আমাদের কলেজটির মূল ভবনটি অত্যন্ত জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। পলেস্তারা খসে পড়ছে। কখন যে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে, সেই চিন্তায় থাকেন সবসময়। দুঃখজনক হলেও সত্য, এই কলেজটিতে নতুন ভবন না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পাঠদান এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালিত করতে হচ্ছে।
সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজের সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম জানান, তিনি বিষয়টা জানতেন না। এ বিষয়ে তিনি কলেজটির অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। যেহেতু এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান সেহেতু সরকারের যে দপ্তরে এটা জানানোর দরকার জানিয়ে দেবেন। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য যেটা কল্যাণকর সেটাই করা হবে বলেও তিনি জানান।
"