চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
ভোলার চরফ্যাশনে
২০ মিনিটের পথে ঘণ্টা পার খানাখন্দে ভরা ২০ গ্রামের সড়ক
ভোলার চরফ্যাশনে চেয়ারম্যান বাজার আঞ্চলিক সড়কটির বেহাল হয়ে ভরে গেছে খানাখন্দে। একইসঙ্গে অন্তত ২০ গ্রামের মানুষের একমাত্র চলাচলের রাস্তা এটি। এটি সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তারপরও সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে দুর্ঘটনায় বাড়ছে প্রাণহানি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মৎস্য ঘাট উপজেলার সামরাজ মাছ ঘাট এ ছাড়া রয়েছে মাইনুদ্দিন মাছ ঘাট, খেজুর গাছিয়া মাছ ঘাট, পাঁচ কপাট মাছ ঘাটসহ ছোট বড় প্রায় দশটির মত মৎস্য ঘাটের ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ঢাকার পথে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা চেয়ারম্যান-চরফ্যাশন আঞ্চলিক এই সড়কটি। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে অন্তত ২০ গ্রামের মানুষের একমাত্র চলাচলের রাস্তাও এটি। কিন্তু ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহনে ১০ কিলোমিটারের এ সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কে প্রতিদিন চলাচল করছে, জরুরি অ্যাম্বুলেন্স, বাস, ট্রাকসহ কয়েক শত যানবাহন। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনাসহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চালক ও যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করায় মহাসড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়েছে। কিছু স্থানে আবার ওঠে গেছে রোড কার্পেটিং। ফলে রাস্তায় প্রায় বিকল হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক। নষ্ট হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কটি গত তিন বছর আগে একবার সংস্কার করা হলেও দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সড়কের কার্পেটিং ও বিটুমিন ওঠে যায়। এভাবে দায়সারাভাবে কাজ না করে দ্রুত এমনভাবে সংস্কার করা হোক যেন সড়কটি টেকসই হয়। বারবার যেন বাসিন্দাদের হয়রানি হতে না হয়।
সামরাজ মাছ ঘাট থেকে মাছ নিয়ে আশা ট্রাকচালক আবদুল মালেক জানান, খুব সতর্কতার সঙ্গে মালবাহী ট্রাক নিয়ে চলতে হয়। একটু অসতর্ক হলেই দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কটির বেহাল হওয়ায় অনেক চালক এসব ঘাটের মাছ পরিবহন করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ হিসেবে তিনি জানায়, ১০ কিলোমিটার রাস্তা ২০ মিনিটের পথ এখন এক ঘন্টা সময় লেগে যায়। অনেক সময় ফেরি ধরতে না পারলে মাছ নিয়ে ফেরত এসে লঞ্চে পাঠাতে হয় মাছ। এতে তাদের লোকসান গুনতে হয়। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানায় তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোশারেফ হোসেন বলেন, গত তিন বছর আগে সিলকোট করা হয়েছে। সিলকোট করার তিন বছরের আগে এই রাস্তার বরাদ্দ হয় না। এখন বরাদ্দ হয়েছে, আমরা খুব শিগগিরই এই রাস্তার কাজ শুরু করবো।
"