ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়
তদন্তে নির্দোষ প্রধান শিক্ষক জান্নাত
নানান অভিযোগে কক্সবাজারের ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাতকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটিতে। এর প্রেক্ষিতে গত ১ সেপ্টেম্বর খুরশিদুল জান্নাতের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবল চাকমা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে প্রধান করে করা ওই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ঈদগাঁও শাখার ব্যবস্থাপক এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইছমাইল। এরপর তদন্তে প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাতের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাননি কমিটি।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাত স্কুলে গেলে তাকে ফুলেল শুভেচছা জানানো হয়।
তদন্ত প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়, অভিযোগগুলো সাজানো এবং উদ্দেশ্যমূলক। যার কারণে সব অভিযোগ থেকে প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাতকে অব্যাহতি দিয়েছে তদন্ত কমিটি। একইসঙ্গে চক্রান্তের নেপথ্যে থাকা শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
এদিকে, তদন্ত চলাকালীন গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষকের কক্ষ এবং অফিসকক্ষ ভাঙচুর করা হয়। লুট করা হয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। এই ঘটনায় পরে তাৎক্ষণিক আরো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিও তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাতের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাননি। উল্টো তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে বেশকিছু শিক্ষক ও কর্মচারীর নাম। সেই ঘটনাতেও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাত বলেন, সত্যকে ধামাচাপা দেওয়া যায় না। যারা মূলত চক্রান্ত করেছেন তারাই প্রকৃতপক্ষে স্কুলের দোসর। তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সদ্য যোগ দেওয়া ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিমল চাকমা বলেন, স্কুলের এমন ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। রিপোর্ট হয়েছে। তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। তার দায়িত্ব পালনে আর কোন বাধা নেই।
"