হাতিয়ায় জমি-সংক্রান্ত সীমানা বিরোধের জেরে আজিমা খাতুন নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ফরহাদ, সাহাব উদ্দিন ও বাবুলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে হাতিয়া থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।

গত সোমবার উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড চরবগুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আজিমা খাতুন ও তার ভাই রিয়াল হাছানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রবাসীর স্ত্রী আজিমা খাতুনের সঙ্গে প্রতিবেশী ফরহাদ উদ্দিনের জায়গা-সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। প্রতিবেশীরা বিভিন্ন সময়ে চাঁদা দাবি করত। চাঁদা না পেয়ে কয়েকবার জমি দখলের চেষ্টা, গাছপালা কেটে ফেলা, পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যাওয়াসহ নানাভাবে অত্যাচার করে আসছে। ঘটনার দিন সকালে আজিমা খাতুন তার বসতঘরের পাশে সীমানা প্রাচীর করার সময় আসামীগণ অতর্কিতে হামলা শুরু করে। হামলায় আজিমা খাতুনকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয় এবং রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ সময় তার ভাই তাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন- চরকিং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড চরবগুলা গ্রামের ফরহাদ উদ্দিন (৪০), সাহাব উদ্দিন (৫৫) আবু তৈয়ব বাবুল (৪৫)।

আজিমা খাতুন বলেন, আমরা বাড়ির সীমানা প্রাচীর করার জন্য ইট বালু এনে রাখলে তাদের চোখে পড়ে। তখন তারা আমার কাছে চাঁদা চেয়ে মোবাইল ফোনে কল দেয়। আমি টাকা পয়সা দিতে অস্বীকার করলে সকালে তারা আমার রাজমিস্ত্রির কাজে বাধা দেয়। আমি ঘর থেকে বের হলে তারা অতর্কিত দা দিয়ে আমার মাথায় কোপায় এবং রড দিয়ে আঘাত করতে থাকে। চিৎকার করলে আমার ভাই এগিয়ে এলে তারা তাকেও রড দিয়ে পেটায়। পরে আশপাশের লোকজন এসে আমাদের হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

আহত রিয়াল হাসান বলেন, থানায় যাতে মামলা না করি সেজন্য আসামি ফরহাদ আমাকে হুমকি দেয়। এমনকি স্থানীয় সেতুবাজারে আমার কাপড়রের দোকান লুটের হুমকি দেয়।

গতকাল মঙ্গলবার হাতিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী আজিমা খাতুনের অভিযোগটি পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"