মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
মঠবাড়িয়া
৫৮৮ গ্রাহকের ১৬ কোটি টাকা নিয়ে উধাও নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট
৪ বছরে দ্বিগুণ টাকা ফেরত দেওয়ার লোভনীয় প্রতিশ্রুতি দিয়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ৫৮৮ গ্রাহকের ১৬ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট নামে একটি প্রতিষ্ঠান। অধিক মুনফার আশায় শেষ সম্বল ও জমানো টাকা এ প্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে নিঃশ্ব হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন গ্রাহক।
ভুক্তভোগীরা অন্তর্বর্তী সরকার রিসিভার নিয়োগ করে ওই টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতে গত সোমবার রাতে মঠবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন করেন।
নিউ বসুন্ধরা মঠবাড়িয়া শাখার ফিল্ড কর্মকর্তা ও ভুক্তভোগী আব্দুল জলিল মুন্সি লিখিত বক্তব্যে বলেন, নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে কোম্পানি ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক, কোরআন ও হাদিসের কথা বলে এবং কিছু সংখ্যক ওলামা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিকে সামনের রেখে লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ মুনাফা প্রদান, বাগেরহাটের হাজি রিয়াজ উদ্দিন মার্কেট, খুলনার এজাক্স জুটমিল ক্রয় এবং উদ্ধোধন দেখিয়ে মঠবাড়িয়া অঞ্চলের ৫৮৮ জন নিরীহ গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ১৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ নেয়।
২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়সহ সব শাখা অফিসের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ করে দেয়।
পরে আমাদের একটি দল বাগেরহাটের হেড অফিসে এমডি আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা মৌখিকভাবে একধিকবার টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত তা দেয়নি।
বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় কোম্পানির এমডি আব্দুল মান্নান তালুকদার কারাগারে রয়েছেন। আমাদের মূলধন হারানোর শঙ্কায় এখন দিশেহারা। গত রবিবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আইন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, নিউ বসুন্ধরার ফিল্ড কর্মকর্তা ভুক্তভোগী মহিবুল্লাহ ও রেজাউল ইসলাম।
এ ব্যাপারে জানতে কোম্পানির এমডি আব্দুল মান্নান তালুকদারের ছেলে মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি তা রিসিভ করেননি।
"