জয়দেব চক্রবর্তী, কেশবপুর (যশোর)
যশোর
কেশবপুরে বন্যায় সড়কে ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি
কেশবপুরে বিভিন্ন এলাকা থেকে ধীরে ধীরে কমছে বন্যার পানি। এসব এলাকার অনেক গ্রামীণ রাস্তাঘাট এখনো পানির নিচে থাকায় জনগণকে প্রয়োজনীয় যোগাযোগে বেগ পেতে হচ্ছে। অনেক রাস্তার পানি নেমে গেলেও তাতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় জনগণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলতি বন্যায় এ উপজেলায় সড়কে প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে কেশবপুরের পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নের ১১৪ গ্রাম প্লবিত হয়। সেই সঙ্গে প্লাবিত হয় এলাকার অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পিচ ও ইটের সোলিং রাস্তা। এছাড়া, অধিকাংশ বিলের মধ্যে দিয়ে যেসব রাস্তা আছে তা এখনো পানির নিচে রয়েছে। ঘেরের পানির ঢেউ ও যাতায়াতের কারণে এসব রাস্তা ধসে নষ্ট হয়ে গেছে। ঘের মালিকদের রাস্তার পাশে ৬ ফুট বাঁধ দিয়ে ঘেরের বেঁড়ি করার শর্ত থাকলেও তা তারা মানছে না। যেকারণে রাস্তাগুলো নষ্ট হয়ে জনগণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব রাস্তার মধ্যে সচচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ব্যস্ততম জনবহুল কেশবপুর ভায়া কলাগাছি সড়ক, কেশবপুর ভান্ডারখোলা সড়ক, মঙ্গলকোটি হিজলডাঙ্গা সড়ক, মঙ্গলকোট পাঁজিয়া ভায়া মঙ্গলকোট বাজার সড়ক, তেঘরি পরচক্রা বাজার সড়ক, ব্যাসডাঙ্গা খতিয়াখালি সড়ক, রামচন্দ্রপুর ফকির বাড়ি সড়ক, বালিয়াডাঙ্গা মাগুরাডাঙ্গা সড়ক ও কন্দর্পপুর ভায়া বংশির বটতলা সড়ক। এসব সড়কের অধিকাংশ স্থান পানিতে তলিয়ে ৫ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এ মুহূর্তে রাস্তা সংষ্কার করা না হলে জনগণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। রাস্তা আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজিমুল হক বলেন, কেশবপুর উপজেলা ভবদহ প্রকল্পের অন্তর্গত। অতিবৃষ্টিজনিত কারণে অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়। তালিয়ে যায় অধিকাংশ রাস্তা। এখনো অনেক রাস্তা পানির নিচে রয়েছে।
এ উপজেলায় প্রায় ২০টি পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যা মেরামত করতে প্রায় ১৫ কোটি টাকা খরচ হবে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।
"