মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুর
জন্মের আগে বিয়ে তাজুল ইসলামের
বাবার বয়স যখন ২৫ দিন সেদিন তার ছেলের জন্ম। এখানে ছেলের থেকে বাবা মাত্র ২৫ দিনের বড়। ঘটনাটি অবিশ্বাস্য এবং অবাস্তব হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র (ভোটার আইডি কার্ড) অনুযায়ী এমন অনাকাঙ্ক্ষিত তথ্য পাওয়া যায় মেহেরপুর শহরের বাসিন্দা আহসান হাবিব ও তার বাবা তাজুল ইসলামের ক্ষেত্রে। তাজুল ইসলামের প্রকৃত জন্ম তারিখ ১৯৫৯ সালের ১০ ডিসেম্বর। সে হিসাবে তার বর্তমান বয়স ৬৫ বছর হওয়ার কথা। অথচ জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যমতে তার জন্ম তারিখ ১৫ জুন ১৯৮২। সেই হিসেবে তার বয়স এখন ৪৫ বছর। পেশায় রিকশাচালক বৃদ্ধ তাজুল ইসলাম বয়স্কভাতা পাচ্ছেন না জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী এমন বয়স হওয়ার কারণে। তার ছেলে আহসান হাবিবের জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মসাল দেওয়া হয়েছে ১০ জুলাই ১৯৮২। অর্থাৎ আহসান হাবিবের জন্মের ২৫ দিন আগে তার বাবার জন্ম। এ নিয়ে বিভিন্ন ভাবে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে বাবা-ছেলেকে।
আহসান হাবিব বলেন, বাবার বয়সের থেকে মাত্র ২৫ দিনের ছোট আমি। এক হিসেবে বাবা জন্মের আগেই বিয়ে করেছে জাতীয় পরিচয়পত্রে এমনই প্রমাণ করে। জাতীয় পরিচয়পত্রে এমন ভুলের কারণে বন্ধুমহলে লজ্জায় পড়তে হয়।
অপরদিকে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রে আমার জন্ম তারিখের ২৫ দিন পর আমার ছেলের জন্ম। জেলা সমাজসেবা অফিসে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করেছিলাম। পরিচয়পত্রে বয়স কম হওয়ার কারণে সমাজসেবা কর্মকর্তারা বাতিল করে দেয়। যা নিয়ে বড় সমস্যায় পড়েছি।
এ পরিচয়পত্র দিয়ে কোনো কাজ করতে পারছি না। সংশোধনের জন্য কয়েকবার জেলা নির্বাচন অফিসে গিয়েছি। তারা কিছুই করেনি। তিনি আরো বলেন, আমার সন্তানের জন্ম আমার ২৫ দিন বয়সে। তাহলে বিয়ে করলাম কবে। জন্মতারিখ পরিবর্তন করতে হলে স্কুল সনদ কিংবা বিয়ের কাবিননামা প্রয়োজন। সেসব না থাকায় জন্মতারিখও পরিবর্তন করছে না নির্বাচন অফিস।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, তাজুল ইসলাম জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আমাদের এখানে কোনো আবেদন করেননি। আবেদন করলে অবশ্যই সংশোধন করে দেওয়া হবে।
"